আমার পরিচিত অনেকেই বলে আমার সাথে নাকি মানুষের চেয়ে জানোয়ারের মিল বেশী। তাই দয়া করে কেউ আমার কাছ থেকে মানুষের ব্যাবহার আশা করবেননা। ৬'ই মের ঘটনা নিয়ে অনেকের মনেই এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রশ্ন রয়ে গেছে যেগুলোর মিমাংশা হয়তো করা সম্ভবনা কিন্তু বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষন করে হ্য়তো আমরা হয়তো কোন উপসংহারে পৌছাতে পারব।
সাধারন মানুষের সাথে কথা বলতে যেয়ে দেখেছি অনেক ধরনের প্রশ্ন উঠে এসেছে কেউবা এর পক্ষে আবার কেউবা এর বিপক্ষে। যারা সরকারী পক্ষে তাদের প্রশ্নগুলোর ধরন মোটামুটি এরকম:
১) হেফাজতের দাবী ছিলো অন্যায্যে।
সো আমি এটা কোনভাবেই সমর্থন করিনা।
২) হেফাজত কেন এরকম ধ্বংশযজ্ঞ চালালো? এরকম ধ্বংশযজ্ঞের জন্য তাদের এরকম প্রাপ্যই ছিলো।
৩) তারা কেন ঐদিন রাতে ঐখানে অবস্থান করতে গেল? তাদেরতো অবস্থানের অনুমতি ছিলোনা।
৪) কতজন নিহত হয়েছে? হতাহতের প্রমান কি? লাশ গুম করে ফেল্লো কিভাবে? মিডিয়া'তে কেন আসলোনা? নিহতের আত্নীয় স্বজন তো আসলোনা?
আজ আমার লেখার মাঝেই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ফাহাম আব্দুস সালামের এর কয়েকটা লাইন দিয়েই লেখাটা শুরু করতে চাই।
'' আপনি আওয়ামিলীগ করেন না বিএনপি করেন সেটা বিবেচ্য বিষয় না, হেফাজতকে গ্রহন করারও কোন প্রয়োজন নাই। কিন্তু গতরাতে আমাদের দেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর গনহত্যা চালানো হয়েছে এর মধ্যে কোনো ব্যাখ্যা, কোন জাষ্টিফিকেশনের অবকাশ নাই। এরা আমাদের দেশের মানুষ, কারো পিতা, কারো ভাই। এদেরকে হত্যা করেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনী রাতের আধাঁরে। গত রাতে উপস্থিত ছিলেন তান্ডবে এমন একজন সরকারী কর্মকর্তার কাছে জানলাম আসল সংখ্যা চারশ থেকে অনেক বেশী হতে পারে এবং এই সংখ্যাটা কোনদিনও জানা যাবে না''
একজন খুব সাধারন মানুষ হিসেবে আপনার উপলব্ধি নাও হতে পারে যে একটি রাষ্ট্রের কাছে তার নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তাটা কত বড় ব্যাপার।
জীবন হচ্ছে এমন একটি ব্যাপার যার কোনো ক্ষতিপুরন হয়না। আপনি যত শক্তিশালীই হোন না কেন আপনার সাধ্য নেই জীবন ফিরিয়ে নেওয়ার। এবং এইসব মানবিক কারনেই উন্নত বিশ্বগুলো কিন্তু এখন মৃত্যুদন্ড প্রথা রহিত করে দিচ্ছে। তার অর্থ হচ্ছে, বিচারিক প্রক্রিয়ায় আপনার অপরাধ প্রমানিত হলেও শুধুমাত্র মানবিক কারনেই আপনাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হচ্ছে না। বরং সরকার তার নিজের পয়সা খরচ করে আপনাকে লালন পালন করছে।
এবার বিদেশের উদাহরন নাইবা দিলাম নিজের দেশেরই উদাহরন দেই। কিছুদিন আগে সৌদি আরবে একজন বাংলাদেশী'র মৃত্যুদন্ডের রায় হয়েছিলো। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় উদ্যোগ নেয় ঐ ব্যাক্তিকে মৃত্যুদন্ডের হাত থেকে বাচাঁনোর জন্য। এখানে লক্ষ্যনীয় যে বিচার প্রক্রিয়ায় দোষী স্যাবাস্ত হও্য়ার পরেও সরকার নিজের রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যাবহার করেছিলো শুধু এই কারনেই যে সে বাংলাদেশের নাগরিক। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে বিপদে পড়া লোকজনকেও কিন্তু উদ্ধার করে এই রাষ্ট্রই।
আপনারা বলবেন এইগুলো আমার তো জানি। হুমম জানেন তারপরেও বলতে হচ্ছে শুধু এতটুকু স্মরন করিয়ে দেবার জন্য যে একজন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রের কর্তব্য কি।
অনেকেই আমাকে বলছেন, হেফাজত এরকম ধ্বংশযজ্ঞ চালালো কোরআন পোড়ালো সে ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?
এই প্রশ্নের উত্তরে একটা কথা পরিস্কার করা দরকার সেটা হলো তাদের কোন দোষ নাই বা তারা নির্দোষ এটা প্রমান করতে আমি মাঠে নামি নাই। তাদেরকে ধোয়া তুলসীপাতা প্রমান করতেও চাচ্ছিনা। তবে কোরআন পোড়ানোর ব্যাপারে বড় ধরনের একটা অসংগতি আছ।
তারা যেখানে আন্দোলনের উদ্দেশ্যে বলছে নবীর অপমান, ইসলামের অপমান সেখানে কোরআন পোড়ানো টা কিভাবে সংগতিপুর্ন হয় সেটা বোঝা যাচ্ছেনা। ব্যাপারটা এমন যেন বিএনপির মিছিলেই তারেক জিয়ার কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হচ্ছে। এটা খুব সহজ হিসাব, কোরআন পোড়ানো'টা তাদের আন্দোলনের ক্রেডিবিলিটি সম্পুর্নরূপে ধ্বংস করবেই তারপরেও কেনো তারা কোরান পোড়াবে সেটা অস্পষ্ট'ই থেকে যাচ্ছে। এখানে আরেকটা ইন্টারেষ্টিং পয়েন্ট না উল্লেখ করলেই নয়, যারা হঠাৎ করেই খুব কোরআন দরদী হয়ে গেছেন তাদের প্রতি ছোট্ট একটা প্রশ্ন, এই কোরআন শরীফের প্রতিটা সূরা পড়ার আগে বিসমিল্লাহ পড়তে হয়। যারা সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম বাক্যটা সহ্য করতে কষ্ট হয় তারা হঠাৎ করে খুব কোরআন দরদী হয়ে গেলো?
এবার আসি ধবংশযজ্ঞের ব্যাপারে।
দুঃখজনক ভাবে আমাদের দেশে আন্দোলনের পুরো কালচারটাই গড়ে উঠেছে ধ্বংসযজ্ঞের উপর ভিত্তি করে। যে যতো বেশী ধ্বংশযজ্ঞ করতে পারজ্ঞম, তার দাবী হয় ততোই বেশী জোরালো। এবং সেই বিচার যদি করতে যাই তাহলে বর্তমান সরকারের মত কেউ আন্দোলন জমাতে সক্ষম বলে আমার জানা নেই। তাই নাসিম সাহেবের মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায় ''আমাদের আন্দোলন শেখাবেননা, আলীগ জানে কিভাবে আন্দোলন করতে হয় এবং দমন করতে হয়''। অনেকেরই হয়তো মনে নাও থাকতে পারে তাই একটু স্মরন করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন এই আলীগ'ই ৯১'র বিএনপি সরকার কে কিভাবে আন্দোলনের মাধ্যেমে বিপর্যস্ত করেছিলো।
ওতো দুরে যদি নাও যাই তাহলেও ২৮ শে অক্টোবরের লগি বৈঠার যেই তান্ডব আমরা দেখেছিলাম তাতে স্তম্ভিত হওয়া ছাড়া আর কোন পথ ছিলোনা। এবং সেই তান্ডবের নির্দেশ দান কারী কে এটাও টিভির বদৌলতে আমরা খুব ভালোমতই জানি। কোন গোপন গোয়েন্দা তথ্যোর প্রয়োজন নেই। এখন আপনি যদি স্মরন শক্তির দোহাই দিয়ে এত আগের ঘটনা নাও স্মরন করতে পারেন তাহলে সাম্প্রতিক আরেকটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেই। মিরপুরে একজন আলীগ নেতা'কে হত্যা করা হলে আলীগ নেতা-কর্মীরা দিনে দুপুরে মিরপুর দশ নাম্বারে গাড়ি ভাংচুর শুরু করে এবং শুধু তাইনা, ক্লীপিংস দেখে যতদুর মনে পড়ে পুলিশ বক্সও ভাংচুর করা হয়েছিলো তখন।
বলবেন জানিতো এইগুলা সবই জানি তারপরেও এত কথা বলার কি দরকার, হ্যাঁ দরকার আছে কারন মিডিয়াতে আপনাদের একচ্ছত্র্য আধিপত্যর সুযোগ নিয়ে আপনাদের বুদ্ধিজীবি এবং গলাবাজ নেতারা যখন এই ধ্বংশযজ্ঞের দোহাই দিয়ে এই গনহত্যা জাষ্টিফায়েড করতে চায় তখন আর এই পুড়ানো কাসুন্দি ঘাটাঁ ছাড়া আর কিইবা করার আছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই ভ্যানডালিজম শুধু রাজনৈতিক দলগুলাই করেনা বরং দেশের একেবারে সাধারন জনগনও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রথমে ভাংচুর টাকেই প্রধান হাতিয়ার মনে করে। সেটা ঢাকা ইউনিভার্সিটির পোলাপানই হোক কিংবা কোনো শ্রমিক ইউনিয়নই হোক।
ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপারে আর দু একটি কথা বলতে চাই তা হলো, হেফাজতের আগের সমাবেশ ছিলো খুবই শান্তিপুর্ন এবং সুশৃংখল যা সবার প্রশংসা যুগিয়েছে। সেই তারাই এক মাস পরে কেন এরকম ধ্বংসাত্বক আচরন করলো? আর সারাদিন এত মিডিয়া থাকার পরেও কেন হেফাজতের ধ্বংসাত্বক আচরনগুলো ভিডিও হলোনা।
সব দেখানো হলো ৬'ই মে হেফাজতের পলায়নের পর। ঠিক যেন এমবেডেড জার্নালিজমের প্রকৃষ্ট উদাহরন। নাকি আসিফ নজরুলের কথাই ঠিক যে হয়তো সারা দিন ধরে প্ল্যান মাফিক এগুলো করাই হয়েছে রাতের এই ভয়াবহ অভিযান'কে জাস্টিফায়েড করার লক্ষ্যেই। কারন গোপন একটি ভিডিও থেকে দেখা গেছে হাউজ বিল্ডিংয়ের ভিতরে ভাংচুর কারীরা হেফাজতের নয় বরং বিচ্ছিন্ন কিছু লোকজন যারা নাকি হেলমেট পরে ছিলো। আর ঐদিন কারা হেলমেট পরছিলো এটাও জনসাধারন জানে।
তাদের রাতের বেলায় অবস্থান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে। কথা ছিলো তারা সন্ধ্যা ৬'টা পর্যন্ত থাকবে তারপরে চলে যাবে। ভালো কথা তারা চলে গেল না। তাহলে তখন থেকেই কেন তাদের ওয়ার্নিং দিয়ে রাত ৮ টা কিংবা ১০ টার দিকে অপারেশন শুরু করা হলো না? তখনও তো একই যুক্তিতে অপারেশন চালাতে পারতো। আরেকটা কন্ট্রাডিকটারি ব্যাপার হলো তাদের কে যদি ৬'টা পর্যন্ত পারমিশন দেওয়াই থাকে তাহলে দুপুর থেকেই কেন আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের কে আক্রমন করতে থাকে? এইটা কি তাদের উশকে দেওয়ার কোন প্রচেষ্টা ছিলো কিনা তা রহস্যাবৃতই থেকে যাবে।
আরো অস্পষ্ট ব্যাপার হচ্ছে শাপলা চত্তর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দুরেই গনজাগরন মঞ্চ মাসের পর মাস অবস্থান করেছে কোন অনুমতি ছাড়া (কালের কন্ঠ দ্রষ্টব্য) আর এই হেফাজত ২৪ ঘন্টাও অবস্থান করতে পারলোনা। রাষ্ট্রের এই প্রকাশ্যে দ্বৈত নীতি সুশাসন কে কতটা হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।
সরকার পক্ষ সমর্থক এবং সরকার সমর্থক মিডিয়া কিছু প্রশ্ন জোরালোভাবে করার চেষ্টা করছে, তা হলো ঐদিন কি সত্যি মারনাস্ত্র ব্যাবহার করা হয়েছিলো? যদি হয়েও থাকে কই কোন মিডিয়াতে তো আসেনি? আলীগ সরকার কি এমন একটা কাজ করতে পারে? কত মারা গিয়েছিলো আর তাদের লাশগুলো কিভাবে এত তাড়াতাড়ি গুম করে ফেললো? নিহতের স্বজনরা কেন দাবি করছে না? আর এইসব প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়ে একটা আত্নতৃপ্তির ঢেকুর তুলে হেলান দিয়ে বসে। ভাবটা এমন, কেমন জব্দ করলাম?
এইসব প্রশ্নের উত্তর কেউ কি শতভাগ সঠিক ভাবে দিতে পারবে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে আমরা যেটা করতে পারি তা হলো ঐদিনের বিভিন্ন টুকরো টুকরো ঘটনা থেকে অসংগতিগুলো খুঁজে বের করতে পারি এবং সেই অসংগতিগুলো কে সাজিয়ে কিছুটা সঠিকভাবে একটা অনুমানে আসতে পারি।
প্রথমেই শুরু করি আলীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ এবং পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহম্মেদ এর সংবাদ সম্মেলনের কথা। হানিফের দাবী মতে একজন লোকও মারা যায় নাই এবং বেনজীর এর কথা অনুসারে কোন মারনাস্ত্রও ব্যাবহার হয় নাই। যা নাকি বিভিন্ন ভিডিওর টুকরো থেকে সম্পুর্নভাবে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এবং তারা দুজনেই তাদের মিথ্যা বলার ব্যপারে এক বেনজীর উদাহরন রেখেছেন। হানিফ'কে না হয় মানা গেলো উনি পলিটিক্যাল নেতা।
কিন্তু সুদর্শন বেনজীর যেইভাবে নার্ভ ঠিক রেখে কথা বলে গেলেন তাতে বলতেই হয় ধন্য উনি পুলিশ কমিশনার। ভবিষ্যতে পুলিশ কমিশনারের যোগ্যতা বলতে হয়তো উনার স্ট্যান্ডার্ড-কেই বোঝাবে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো তাদের বক্তব্য সন্দেহাতীতভাবে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার পরেও কোনোও মহল থেকেই তাদের বিরুদ্ধে কোন রকম ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা উঠে নাই। এমনি কোন তদন্তও নয়।
একটু স্মরন করি ঐ রাতের অভিযানের কথা।
ঐ রাতে যে ভয়াবহ অভিযান চালানো হয়েছিলো তা ছিলো সম্পূর্নরূপে ভয়াবহ সামরিক অভিযান। যার সাথে কিনা শুধু যুদ্ধাবস্থার-ই তুলনা চলে। চোখ বন্ধ করে একটিবার চিন্তা করুন দশ হাজার সশস্ত্র বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এমন একটি সমাবেশের উপর যাদের সর্বোচ্চ অস্ত্র হলো বাশেঁর লাঠি। লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিডিয়া সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তারপর চরম আক্রমন। আর দশ মিনিটেই লক্ষ মানুষের সমাবেশ নিমেষেই হাওয়া।
এ যেন রূপকথার ম্যাজিক। এখানে ছোট্ট একটি প্রশ্ন করি, কারন আমরা শুধু প্রশ্নই করতে পারি যেহেতু উপযুক্ত পরিমান তথ্য আমাদের হাতে নেই। পুরান প্রশ্ন তাও আবার করতেই হয়। সারাদিন ধরে যাদের কে ৮০ হাজার রাউন্ড রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল সেই সাথে পুলিশ এবং আওয়ামি সন্ত্রাসীদের মিলিত শক্তি হেফাজতের কর্মীদের প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে মেরে ফেলার পরেও সরাতে পারলোনা কিন্তু রাতের ঐ দশ মিনিটে কোন যাদুর চেরাগে সব হাওয়া হয়ে গেলো? তাও আবার হাওয়া তো হাওয়া একেবারে মাথার উপর হাত তুলে? চিত্রটা ঠিক যেন রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে প্রানভয়ে ভীত পরাজিত দলের কোন প্রতিচ্ছবি। যারা নাকি যে কোন কিছুর বিনিময়ে শুধু নিজের প্রানটুকু বাচাঁতে মরিয়া।
তারপরেও যদি বলতে চান আপনার হাতে যাদুর বিশেষ চেরাগ আছে যা দিয়ে ঐ দশ মিনিটেই আপনি হতাহত ছাড়াই তাদের তাড়িয়ে দিতে পেরেছেন তাহলে আপনাদের কে আরেকটা অনুরোধ করি, তা হলো পদ্মা সেতুটাও ঐ যাদুর চেরাগ দিয়ে করে দেন, জনগন আপনাদের তাতে বহুদিন মনে রাখবে। পাঠকবৃন্দ এই পর্যায়ে আপনাদের কে আবারো স্মরন করিয়ে দিতে চাই ৫'ই মে সারাদিনের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে কিন্তু হেফাজতের বেশ কিছু কর্মী ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছিলো তারপরেও কিন্তু তারা কোনভাবেই দমে যায় নাই। সো যারা দিনের বেলায় রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, ছাত্রলীগের কর্মী দ্বারা আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন কর্মীর মৃত্যুর পরেও বিন্দুমাত্র না দমে গিয়ে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলো তারাই রাতের বেলা এত সহজে রনে ভঙ্গ দিবে তা কি বিশ্বাসযোগ্য?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।