আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'71 সালে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আত্দ্মসমর্পণ করেন মোদাবি্বর!

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

একাত্তরের 16 ডিসেল্ফ্বর যে 70 জন বাঙালি সেনা কর্মকর্তা হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্দ্মসমর্পণ করেছিলেন তাদের মধ্যে মোদাবি্বর হোসেন চৌধুরীও ছিলেন। নবনির্বাচিত দু'জন নির্বাচন কমিশনারের একজন সাবেক আইজিপি মোদাবি্বর হোসেন চৌধুরী একাত্তরের মুক্তিযুদব্দের সময় পাক হানাদার বাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদব্দের 9 মাস তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে থেকে সরাসরি পাকিস্টস্নানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদব্দের বিরুদব্দে অবস্ট্থান নেন।

পরবর্তী সময়ে আত্দ্মসমর্পণকারী দু'জন সেনা কর্মকর্তাকে পুলিশে চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তারা হলেন_ মোদাবি্বর হোসেন চৌধুরী ও মাহমুদ আল ফরিদ। বীর মুক্তিযোদব্দা মেজর (অব.) শামসুল আরেফিনের লেখা 'মুক্তিযুদব্দের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্ট্থান' শিরোনামে মুক্তিযুদব্দের আকর গ্রন্থে এর বিস্টস্নারিত উল্ক্নেখ রয়েছে। মাহমুদ আল ফরিদের বাবা মুক্তিযুদব্দে শহীদ হওয়ায় তাকে বাংলাদেশ স্ট্বাধীন হওয়ার পর পুলিশে চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়। আর একই জেলায় বাড়ি_ শুধু এই বিবেচনায় মুক্তিযুদব্দের সর্বাধিনায়ক কর্নেল ওসমানীর সুপারিশে পুলিশে চাকরি পান মোদাবি্বর হোসেন চৌধুরী।

তিনি সমঙ্্রতি পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে 2007 সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-2 (আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দি্বতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পাক হানাদার বাহিনীর লেফটেন্যান্ট হিসেবে আত্দ্মসমর্পণের পর মোদাবি্বর হোসেন চৌধুরীকে '72 সালে ক্যাপ্টেল্টন পদে পদোল্পম্নতি দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামহৃলক অবসর দেওয়া হয়। এরপর 1973 সালের পহেলা এপ্রিল তিনি এএসপি পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। মোদাবি্বর হোসেন চৌধুরী 2001 সালের 16 নভেল্ফ্বর পুলিশের আইজি হিসেবে যোগ দেন। 2003 সালের 24 এপ্রিল তাকে আইজিপির পদ থেকে সরিয়ে সংস্ট্কৃতি মন্পণালয়ের সচিব করা হয়।

পরে তিনি অবসরে যান। গত 18 জুন দৈনিক প্রথম আলোর 18 নল্ফ্বর নির্বাচনী পৃষ্ঠায় হবিগঞ্জ-2 (আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং) আসনে আসল্পম্ন সংসদ নির্বাচনে অন্য সল্ফ্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে মোদাবি্বর হোসেন চৌধুরীর সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। সেখানে তিনি যা বলেছেন, তা হুবহু তুলে ধরা হলো : 'বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তাদের আশ্বাসে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। আগেও করেছি।

সব সময় এলাকার লোকজনের পাশে আছি। আমি অচিরেই বিএনপিতে যোগ দেব। ' মোদাবি্বর হোসেন চৌধুরীর ভাই মোতাহার হোসেন চৌধুরীর ছেলে জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বর্তমান জেলা যুবদলের যুগ্গ্ম সমঙ্াদক। তাদের পুরো পরিবারই স্ট্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সমঙ্ৃক্ত। গত 31 অক্টোবর পুলিশ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামে জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর মাছের খামার থেকে 1টি বন্দুক, 1টি এয়ারগান ও 20 রাউন্ড গুলি উদব্দার করে পুলিশ।

গ্রেফতার করে খামারের পাহারাদার ওয়াফি মিয়া ও মকবুল হোসেনকে। কিন্তু ক্ষমতার দাপটের কারণে পুলিশ গ্রেফতারকৃত ওই দুই পাহারাদারকে 54 ধারায় কোর্টে চালান করলে তারা জামিনে ছাড়া পায়। জুবায়ের হোসেন এসব অস্ট্পের লাইসেন্স তার কাছে আছে এমন দাবি করে অস্ট্পগুলো পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে আসেন। কিন্তু এসব অস্ট্প মাছের খামারে কীভাবে গেল_ সে সময় সাংবাদিকদের প্রশেম্নর জবাব তিনি দিতে পারেননি। **সমকাল**


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.