যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
প্রাত্যহিক পরিদর্শন শেষে একা একা গৃহে ফিরছেন নিমগ্ন ধূমকেতু
সূর্য্যকে বিদায় জানিয়ে ধরিত্রীও ঘুমাতে যাবেন খানিক বাদে
দূরাগত শোরগোল ভেদ করে শোনা যায় মহাশুণ্যের সাইরেন
আর কাঁটা ঘড়িতে আটকে পড়া সময়
একমনে বাড়িয়ে চলেন প্রথাগত বাহ্য জ্ঞান
শুধু একজন অন্ধ ভিখারি
পথ মেপে হেঁটে চলে অজানা গন্তব্যে
ধীর পদেেপ স্পর্শময় অজানা সুগন্ধে
শুনেছি বিগত শতকের কৃত্রিম আলোতে পুড়ে গেছে তার চোখ
আর এখন শব্দ-ক্লান্ত মহানগর এড়িয়ে
সে শুধু শুনতে চায় ধ্রুব নৈশব্দের শ্লোক
অথচ কি নিষ্ঠুরতায় তার পেশীতে বেজে চলে দোলন চাঁপার ঘ্রাণ
একটা স্পন্দনময় নৈকট্যে প্রাণের দ্রিমিকি দ্রিমিক গান
যদিও হেমন্তের হাওয়ায় ভেসে আসে,
গণিত বইগুলোর পোড়া ঘন্ধ
আতংকে ছুটে যায় প্রথার দমকল
তবুও কিছুই দ্যাখেনা ভিখারি,
সে তো চোখ-পোড়া অন্ধ
তবে একসময় থেমে যায় কাঁটা ঘড়ির উদ্বেগ স্পন্দ
আর বুকের আঁচল টেনে দোলনচাঁপা ছড়াতে থাকে
বিবশ করা নতুন গন্ধ
থমকে যায় ভিখারি
থমকে যায় পেশী টান টান করা অন্ধ
শুধু শংকিত সূর্যাস্তের খসেপড়া ঘামগুলো বলে,
তবে কি দোলনচাঁপাও কাঁটাঘড়ির মত বন্ধ?
তবুও বহুদিন পর খলখল হেসে ওঠে ভিখারি
ঘরে ফেরার গান থামিয়ে হঠাৎ পিছু ফেরে ধূমকেতু
তবুও দোলনচাঁপার পুকুরে সমস্তটা ডুবিয়ে,
শিথীল পেশীতে ভেসে যায় অন্ধ
আর নিমজ্জিত সাঁতারে নির্দ্বিধায় জাগিয়ে রাখে তার উন্মুখ নাসারন্ধ্র
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।