আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"কালচারের যত হালচাল" ।" নিজ দেশীয় সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে ভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বন্ধ কি আসলেই যৌক্তিক "?

আসল কথা কি জানেন ফার্স্ট হবার দুইটা উপায় আছে হয় নিজে বেশী মার্কস পাও নাহলে অন্যের মার্কস কমাও সো যেহেতু মেধাহিন ও সুযোগহীন এক “কালচারাল ইন্ডাস্ট্রি” চালাচ্ছি তাই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধে দ্বিতীয়টিই আমরা বেছে নিয়েছি এবং সেই ধারাবাহিকতায় হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু পরবর্তী বইমেলাতেই নিজেদের মান বাচাতে তারাতারি বাংলা একাডেমীর ভারতীয় লেখকদের বই নিষিদ্ধকরন। শুরুটা এখানে, বাঙ্গালীর ভুল যায়গায় বাঙ্গালিপনা আর জাতীয়তাবোধ দেখান আজকেই নতুন নয়। হিন্দি “ডেইলিসোপ” “মুভি” “ডরেমন কার্টুন” কিংবা “বিপিএল এর পাকিস্তানী প্লেয়ার” অথবা “শাহরুখ খান” বা “আতিফ আসলাম” দের আগমন বিভিন্ন অনুস্থানে এইসব বিভিন্ন ঘটনার সময় আমাদের এই স্পিরিট আসে আবার ঠিক পরের মুহূর্তেই শেষ হয়ে আবার শুরু করি “শাকিব খান বা জলিলদের” পচানোর প্রক্রিয়া । সো এই ঘটনার সাথে এখন নতুন করে যোগ হয়েছে ভারতীয় লেখকদের একুশে বই মেলার অন্তুরভুক্তিতে নিসেদাজ্ঞা । প্রথমত একটু সময় দেয়া উচিৎ বাংলা একাডেমীকে যে তারা আসলে কোন কারনে এটি করতে চাচ্ছেন তা ক্লিয়ার করার জন্য ।

এটি হতে পারে মুলত লেখকদের কে প্রমট করার জন্য হতে পারে যাতে করে তাদের বইগুলি আরও বেশী ব্যাবসা করতে পারে এবং সোজা কথা তাহলে আমাদের লেখকদের উপর আমাদের ভরসা নেই এবং তাদের প্রতিযোগিতার বাজারে টিকিয়ে রাখতেই এই আয়োজন। ঠিক যেই কথাগুলি আমরা বলে থাকি হিন্দি ছবি আনার ক্ষেত্রে এবং উপরের যতগুলি বিনোদনের নাম উল্লেখ করলাম সেগুলিতে। কিন্তু এতে করে কি লাভ ? আমরা তো আমাদের সংস্কৃতির দিকে ঝুকতে হবে এবং সেইটা কখন সম্ভব যখন আমরা আমাদের সংস্ক্রতিকে উপস্থাপন করতে পারব আকর্ষণীয় ভাবে। সব সংস্কৃতিই ইংরেজরা বা ইংলিশ ভাষাভাসি মানুষগন গ্রহন করছেন কিন্তু নিজেদেরটা সবসময়ই উপরে রাখছেন এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির এই বিচিত্র মিলনকে তারা বলছেন তাদের গৌরব। ভাই সত্যি কথা বলতে কি আপনারা কি একটা কারন খুজে পান যা দিয়ে যাস্টিফাই করবেন অন্য ভাষা বা সংস্কৃতি এই দেশে আনা যাবে না এমন বিচার।

না পারবেন না। হয়ত বলবেন আমাদের নিজস্ব কালচার নষ্ট হয়ে যাবে আমরা বিলীন হয়ে যাব এসব ক্র্যাপ কথা বার্তা ছাড়া। আসল কথা কি জানেন ফার্স্ট হবার দুইটা উপায় আছে হয় নিজে বেশী মার্কস পাও নাহলে অন্যের মার্কস কমাও সো যেহেতু মেধাহিন ও সুযোগহীন এক “কালচারাল ইন্ডাস্ট্রি” চালাচ্ছি তাই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধে দ্বিতীয়টিই আমরা বেছে নিয়েছি এবং সেই ধারাবাহিকতায় হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু পরবর্তী বইমেলাতেই নিজেদের মান বাচাতে তারাতারি বাংলা একাডেমীর ভারতীয় লেখকদের বই নিষিদ্ধকরন। আর এটিতো লজ্জার বিষয় যে, পরিচালক,গায়ক,নায়ক,নাট্যকার,এমনকি লেখকরা বলছেন যে ওই ছবি,ওই গান, ওই নাটক কিংবা ওই গান দেখবেননা। শেইম, শেইম,শেইম ।

এইতা কেনইবা বলবেন না ২৭ তা নাকি টিভি চ্যানেল আছে বাংলাদেশে এবং আমার মনে হয় খালি যদি খবর আর টক শো বন্ধ হয়ে যায় তাহলে হয়ত তিন চারটা বাদে বাকি সবার মেইন গেইটেই তালা লাগাতে হবে। সুতরাং স্পস্থই যে আমাদের মননশীল চিন্তা আর নতুন সৃষ্টির জায়গটি একেবারেই শূন্য তাই অন্যদেরকে ঠেকিয়ে যতক্ষণ থাকা যায় আর কি। বাট উই হেভ দি অপশান আপনি চাইলেই আপনার ইচ্ছেমত বস্তাপচা বাশি জিনিস খাওয়াতে পারবেন না। আর একটা খুড়া যুক্তি আছে সেটি হল বাজেট এবং পর্যাপ্ত সজুগ সুভিধার অভাব। হ্যা এটা ঠিক এই গুলি গুরত্তপূর্ণ তবে নিশ্চয়ই একমাত্র উপাদান নয়।

তাহলে হয়ত হিন্দি ছবি অনেক আগেই অস্কারের পুরস্কার ঘরে তুলত আর ইরানী ছবি গুলি বিশ্ববাজারে মুখ থুব্রে পরত। তবে এই বিষয়ে আরও জানতে বাহিরে যাবার দরকার নেই ফারুকি ভাইয়ের “টেলিভিশন” বানাতে কত টাকা লেগেছে সেটা জেনে নিন। আমাদের এক শিক্ষক বলেন জীবনে তিনি দুইটি গ্রেড এ বিশ্বাসী এক “এ গ্রেড” আর না হয় “ডি গ্রেড” মানে হল হয় বাচলে বাচ মাথা উচিয়ে নাহলে দরকার নেই বাচার এবং এক্ষেত্রে আমারও মত ঠিক এইরকমই যে বই, নাটক , ছবি , আইকন তথা নিজেদের সাহিত্য সংস্কৃতিকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে দিন এবং বি দ্যা বেস্ট । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.