আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলাম সকল সুন্দর কালচারের উৎস -2

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? মানব সভ্যতার শুরু থেকেই একে অপরের সাথে দেখা-সাক্ষাতের সময় পরস্পর ভাব বিনিময়ের ও সাদর সম্ভাষনের বিভিন্ন পদ্ধতি চালু হয়ে আসছে। বিভিন্ন জাতি নিজেদের সভ্যতা, সংস্কৃতি, আদর্শ ও রুচি অনুযায়ী বিভিন্ন শব্দ ও বাক্য বাছাই করে নিয়েছে। যেমন, ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় পরস্পরের সাথে সাক্ষাতে, আদাব, নমষ্কার, নমঃ নমঃ ইত্যাদি পশ্চিমা দেশে Good Morning, Good Afternoon, Hi, Hello ইত্যাদি বলে একে অপরকে সম্ভাষন জানিয়ে থাকে। প্রাক ইসলামী যুগে আরব সমাজে "আনআমাল্লাহু বিকা আইনান" অর্থাৎ "আপনার বদৌলতে আল্লাহ আপনার প্রিয়জনদের চক্ষু শীতল করুণ" , "আন'য়েম ছাবহান" অর্থাৎ "সু-প্রভাত " ইত্যাদি শব্দ সমুহের প্রচলন ছিল।

নবুওয়াতের পর বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাক ইস লামী যুগের শব্দগুলো বাদ দিয়ে পরস্পরকে "আসসালামুআলাইকুম" বলে অবিভাদন জানাবার নির্দেশ দেন, যা সকল সময়, বয়স, স্থান -কাল-পাত্র ভেদে সবখানে প্রযোজ্য; যা সার্বজনীন অবিভাদন পদ্ধতি তার নামই সালাম। উল্লেখ্য সালামের প্রচলন শুরু হয়েছিল প্রথম নবী ও মানুয় হযরত আদম (আঃ) এর মাধ্যমে। হাদিসে এর সুস্পষ্ট প্রমান বিদ্যমান। "হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা বলেছেন, আল্লাহ তাআলা হযরত আদম (আ) কে পরিকল্পিত স্বীয় আকার আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর উচ্চতা ছিল ষাট হাত।

আল্লাহ তাআলা তাঁকে সৃষ্টি করে বললেন, "যাও অবস্থান রত ফেরেশতাদের ঐ দলটিকে সালাম কর। আর মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর, তোমার দেয়া সালামের জবাবে তারা কি দেয়। কেননা এটিই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালাম আদান-প্রদান পদ্ধতি। " অতঃপর আদম (আ) সেখানে গিয়ে আসসালামু আলাইকুম বল্লেন। তারা জবাবে আসসালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ বললেন।

রাসুল (সা) বলেন, ফেরেশতারা ওয়ারাহমাতুল্লাহ অংশটি বৃদ্ধি করে বলেছেন। (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত: 4402/1) আবার আল্লাহ তাআলা কারো সালাম ও অবিভাদনের জবাবের প্রেক্ষিতে উত্তম ভাবে সালাম, অবিভাদন জানাতে বলেছেন। আল্লাহ বলেন,"আর যখন তোমাদের সালাম করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম উত্তর দিবে অথবা কমপক্ষে তার সমপরিমান দিবে, নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব গ্রহণ কারী। " (সূরা নিসাঃ আয়াত:86) আল্লাহ আরও বলেন, "হে নবী! আমার আয়াতের উপর ঈমান রাখে এমন লোকেরা যখন আপনার দরবারে আসে তখন আপনি তাদেরকে বলুন 'সালামুন আলাইকুম' । " (সূরা আনআম ঃ 54) সুতরাং কারও সাথে দেখা হলে কিভাবে সম্ভাষন করতে হবে এই কালচারটুকু ও আল্লাহ আমাদেরকে অনুগ্রহ করে শিখিয়ে দিয়েছেন।

আরও বিভিন্ন কালচার নিয়ে আসছি পরের পোষ্ট-এ ইনশাইল্লাহ। ---------- একজন ভাই 'কালচার' এবং 'সুন্দর'এর ব্যখ্যা চেয়েছেন। কালচার হলো সংসকৃতি। সংসকৃতি কাকে বলে সে বিষয়ে শিক্ষিত মহলে বিরাট তর্ক বিতর্ক চলে। আমার কাছে, মানুষ সকল কাজ-কর্মে ও চলা-ফেরায় যেসব নিয়ম কানুন মেনে চলে তাই হলো সংসকৃতি বা কালচার।

আর সুন্দর নিয়ে তো তর্ক বিতর্কের শেষ নাই। কারণ একই জিনিস কারও কাছে সুন্দর আবার কারও কাছে কুৎসিত। এখানে সুন্দর বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি যা আল্লাহর কাছে সুন্দর সেগুলো। কারণ শেষে তো বিচার তিনিই করবেন। বিঃদ্রঃ আমার এই লিখায় কোন ভুল থাকলে সংশোধন করে দিবেন... কৃতজ্ঞ থাকব।

---------- ছবি: google

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.