দেশে নারী নির্যাতনের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুরুষ নির্যাতন। দেশের মিডিয়াগুলোতে এই খরবগুলো আসেনা বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর খবরও রাখেনা। এর ওপর কোন গবেষণা হয়নি বলেও কোন তথ্য হাজির করতে পারছিনা। তবে অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন।
প্রেমিকার হাতে নির্যাতন
প্রায়ই চোখে পড়ে মেয়েটি তার প্রেমিককে থাপ্পড় দিচ্ছে, ঝগড়া ঝাটির এক পর্যায়ে।
ছেলেটি কিছুই বলতে পারছেনা নারী নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত হবে এই আশংকায়। রাস্তা ঘাটে আনাচে কানাচে বিভিন্ন চত্বরে মেয়েদের হাতে মার খেয়ে যাচ্ছে অসংখ্য অসহায় তরুণ।
স্ত্রী-কর্তৃক নির্যাতন
অন্যদিকে স্ত্রীর হাতে স্বামী নির্যাতনের ঘটনাও আশংকাজনকহারে বাড়ছে। এই নির্যাতন ঘরের মধ্যে বেডরুমে সংঘটিত হয় বলে পাশের রুমেরও অনেকে জানেনা। নারী নির্যাতনের পর অনেকে আত্মহত্যা করে, কেননা মেয়েরা অনেক বেশি ইমোশনাল।
তাই আত্মহত্যার ঘটনা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু কোন পুরুষ আত্মহত্যা করেনা বলে এই নির্যাতন কারো চোখে পড়েনা। অথচ অনেকেই এর ভুক্তভোগী যা সর্বোচ্চ তার কলিগরা জানে অথবা কেউ জানেনা।
মানুষিক নির্যাতনের তো কোন শেষ নেই। আপনাকে হয়তো আপনার সবচেয়ে অপ্রিয় কাজটি অর্থাৎ স্ত্রীকে সাথে নিয়ে মার্কেটে মার্কেটে ঘুরতে হবে ঘন্টার পর ঘন্টা।
যে কাজটি আপনি একা ১০-২০ মিনিটে শেষ করতে পারতেন। অথচ আপনাকে স্ত্রীর সাথে সাথে হাটতে হচ্ছে, তার পছন্দ অপছন্দের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে কখনও হাসতে হচ্ছে কখনও মন্তব্য করতে হচ্ছে। কারণ আপনি জানেন এগুলো না করলে বাসায় গিয়ে চলবে আপনার ওপর অমানুষিক নির্যাতন! অনেকেই তাই অসহায় বোধ করেন।
তাই যারা নারী নির্যাতন নিয়ে সোচ্চার, তাদের এই পুরুষ নির্যাতনের সামাজিক ব্যাধি নিয়েও কথা বলা উচিৎ। তা না হলে সমস্যার একদিক বলা হবে, অপর দিক বাদ পড়বে।
বন্ধ হোক নারী-পুরুষ নির্যাতন- এই শ্লোগান সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।