আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সে দিনগুলো 01

সযতনে খেয়ালী!

গ্রুপ বিভাজনের পর বেশ কয়েকদিন ক্লাশ কামাই দিয়ে নিজের আসন খুজে পেলাম শেষ বেঞ্চের ঠিক আগের বেনচের এক কোনায়। তিন জনের বসার জায়গা, মাঝের জন সুজার সাথে আগেই পরিচয় হয়েছে সেই প্রথম দিন থেকে, গ্রুপ বিভাজনের আগেই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই আরো বেশ কয়েকজনের সাথে সম্পর্ক জমে গেলো। ভালোই চলছিল দিনগুলো। একদিন সুশীল স্যারের ক্লাশে পিছন থেকে একজন পিঠে ধুপ-ধাপ কিল বসাচ্ছে।

পিছনে তাকিয়ে দেখলাম নতুন পাবলিক, মানে এতদিনে এই এলো প্রথম। আমি ক্লাশ কামাইয়ের দাদা হলে সে কামাইয়ের পরদাদা। আমাকে ফিরে তাকালেই সাদা দাঁত গুলো বের করে হাসি দিয়ে হাত গুটিয়ে পিছনে চলে যায়। আমিও কিছু না বলে স্যারের বকবকে কান পাতি। একটু পর আবারো ধুপাধপ কিল।

নয়া পোলা, কান্ধে উইঠা বইলে তো সমস্যা! এইবার আমি একটু বিরক্ত হয়েই তাকাই। এইবারো সেই একই হাসি। না হাসলে অবশ্য ওকে ট্রেস করা মুশকিল হয়ে পড়তো। হাসে বলেই দাঁত গুলো দেখা যায়, আর দাঁত গুলো দেখা যায় বলেই ওর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়। এইবার বলে, "পিছে তাকাস কেন, সামনে তাকা"।

প্রথম দেখায় ক্লাশ মেট হোক আর নব্য-শশুর বাড়ির দারোয়ানই হোক এটলিস্ট "তুমি" সম্বোধন করার অলিখিত একটা নিয়ম আছে। খেয়াল করলাম এখানে কোনই ভদ্রতার বালাই নেই। আমিও যথারীতি এক ডিগ্রী সরেস উত্তর দিলাম, "শালা ভুশা কিলাস কেন, এইটা তোর বাপের শরীর"? ভেবেছিলাম একটা সশস্ত্র প্রতিরোধ আসবে। কিন্তু কিছুই আসলো না। ক্লাশ শেষের ব্রেকে ওকে দেখতে পেলাম না কোথাও।

"শালা ভাগা দিছে"- যেইনা সুজা বলছে, দেখি গ্রুপ 4 এর দিক থেকে দৌড়ে এদিকে আসছে ভুশা মিয়া। "ভাগে নাইরে ভাগে নাই, ওই দেখ আইতাছে"....! ======================== সেদিন বার্লিনে দীর্ঘ 11 বছর পর দেখা হওয়া আমার স্কুলের এক বন্ধুকে স্মরণ করে লেখাটা শুরু করলাম। সাথে অগি্নতে ঘৃতাহুতি হিসেবে কাজ করেছে অমি পিয়ালের [ইটালিক]"বন্ধু কী খবর বল"[/ইটালিক]!! [ইটালিক](শেষ হয় নাই কইলাম)![/ইটালিক]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।