আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মঞ্জুর হত্যা: শুনানি ফের পেছাল

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান রচি বৃহষ্পতিবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানির জন্য আরো সময় চান।
বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়া আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৮ জুলাই শুনানি শুরুর দিন রাখেন।
সাবেক সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ এ মামলার অপর আসামিরা এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
১৮ বছর আগে দায়ের করা এ মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে এলেও রাষ্ট্রপক্ষ বার বার সময়ের আবেদন করায় এর  নিষ্পত্তি হচ্ছে  না।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আদালত এ মামলার যুক্তিতর্ক শোনার জন্য চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দুটি এবং মার্চ ও এপ্রিলে একটি করে মোট চারবার তারিখ নির্ধারণ করে।

কিন্তু প্রতিবারই রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করায় শুনানি পিছিয়ে যায়।
মামলার অন্যতম আসামি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম এই বিলম্বকে ‘অনাকাঙ্খিত ও দুখঃজনক’ হিসাবে উল্লেখ করে বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার মক্কেল ‘সম্পূর্ণ নিদোর্ষ হয়েও শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে’ বছরের পর বছর ধরে এ মামলার ঘানি টানছেন।
সাবেক সেনা শাসক এরশাদ গত ২ অক্টোবর আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মঞ্জুরের ভাই।

ওই বছরই অভিযোগপত্র পেয়ে মামলার বিচার শুরু করে আদালত।
আত্মপক্ষ সমর্থনে এরশাদ বলেন, জেনারেল মঞ্জুরকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দেয়ার জন্য তৎকালীন সরকার রেডিও টিভিতে ৫ লাখ টাকা ঘোষণা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
“ধরা পড়ার পর মেজর মঞ্জুরকে  চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আনার পথে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পরে নিরাপত্তা প্রহরীর সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে আবুল মঞ্জুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। ”
তখনকার স্বরাষ্ট্র সচিব মাহবুবুজ্জামান এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, তখনকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের  নির্দেশে পুলিশ আবুল মঞ্জুরকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।
গত বছরের ২ অক্টোবর  নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন এরশাদ। মামলার অপর আসামি অবসরপ্রাপ্ত মেজর কাজী এমদাদুল হকও আদালতে লিখিত বক্তব্য দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দসহ রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৮ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে এ মামলায়।


সাক্ষীদের মধ্যে তখনকার সেনাবাহিনী প্রধান আবু সালেহ মো. নাসিম এবং তৎকালীন মহানগর হাকিম আবুল হাসেমও রয়েছেন।
এরশাদ ছাড়া মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি আসামিরা হলেন- মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়া, লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব.) সামস ও মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ । আসামিরা সবাই হাই কোর্ট থেকে জামিনে আছেন।
 
 
 
 
 

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.