অতি শৈশবে (স্কুলে যাইনা তখনো) বাসায় একজন বৃদ্ধ লোক আসতেন। আমরা তাকে দাদু ডাকতাম - দেখলেই মনে হত খুব ক্ষিদে লেগেছে উনার...
নিবারন নামের কালো লোকটা, ভাঙা চোয়ালে খোচা খোচা সাদা দাড়ি,চোখে গোল গোল মোটা কাচের চশমা, হাতে ক্যানভাসের ময়লা একটা ব্যাগ। উনি ছিলেন আমার নানার মতোন দেখতে।
শিলপাটা ধারকরা ঐ বুড়োটা মাঝে মধ্যে দুপুরের খাওয়া খেতে আসতেন। আমার কাছে তখন নানার চেহারাটা ভেসে উঠতো - তার রুমে থরে থরে ফল আর নানুর মতো অবিকল লোকটাকে ঝা ঝা দুপুরে শি-ল-পা-টা ধার বলে চিৎকার করতে করতে ঘুরে বেড়াতে হয় খিদেপেট নিয়ে -
প্রশ্ন জাগতো কেন নিবারন দাদু খাবার পায় না ?
ছোটবেলা থেকেই জানতাম হিন্দুরা দোযখে যাবে আর মুসলমানরা একদিন না একদিন বেহেস্তে যাবে। নিবারনকে দেখে মনে হত এই লোকটা সারাজীবন দোযখে পুড়বে। আমার খুব কষ্ট হতো।
কেন নিবারন দাদু সারাজীবন আগুনে পুড়বে ?
নিবারন দাদু আমার মধ্যে প্রথম এই দুটি প্রশ্ন জাগিয়ে দিয়ে গিয়েছেন যার উত্তর আমি আজো খুজছি...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।