যা বুঝি, যা দেখি, যা শুনি এবং যা বলতে চাই
নিজের লেখা নিজে কাটাছেঁড়া করা কঠিন নয় কিন্তু বিব্রতকর। সব ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে লিখতে ইচ্ছে হয়। কখনও আবার মনে হয় কি দরকার যেভাবে আছে সেভাবেও চলে। থিসিসটা বেশকিছুদিন ফেলে রেখেছিলাম। কিছুটা ব্লগিংয়ের নেশায় কিছুটা সুপারভাইজারের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার কারণে।
গ্রীষ্মে সবাই ছুটি কাটাচ্ছে । বিরক্ত করাটা অসাংস্কৃতিক হতো।
দৃষ্টির আড়ালে থাকায় এখন নিজের লেখাকেই নিজের অচেনা লাগছে। নানারকম অদল-বদল করতে তেমন টান লাগছে না বুকে। আসলে এরকম লেখায় প্রতিটি বাক্যই মানুষ অনেক ভেবে লেখে।
নিজের পক্ষে সেটা বদলানো যন্ত্রণাময়। কত যুক্তি মনে আসে এসব বাক্যের পক্ষে।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন চিঠি পাঠিয়েছে। পরীক্ষার ফর্ম অসম্পূর্ণ, কারণ সাথে 300 শব্দের একটা সারসংক্ষেপ দেয়া হয়নি। গি্ল্লনটা যত ঝামেলা পাকাতে পারে।
ওরই দায়িত্ব ছিল ফর্ম পাঠানোর। থিসিসের কপি থেকে এ্যাবস্ট্রাক্ট পাঠাতে ভুলে গেছে। এই বছর আবার সে বদলি নিয়ে চলে গেছে শেফিলড ইউনিভার্সিটিতে। তার মানে আবার আমি সুপারভাইজারহীন।
এ মাসেই কাঁধ থেকে সবকিছু নামিয়ে ফেলতে হবে।
তারপর বাঁধাই করে জমা। আর ভালো লাগে না এই লাখখানেক শব্দের ঝক্কি টেনে বেড়ানো। এ কয়দিন ব্লগে গবেষণার একাকীত্বের তাই ধারাবাহিক চলবে। কেউ পড়ুক বা না পড়ুক। নিজের সাথেই নিজের কথোপকথন।
কৃতজ্ঞতাস্বীকার অংশটা লিখলাম। এ্যাক্রোনিমের একটা তালিকা দিতে হয় থিসিসের শুরুতে। তিন পৃষ্ঠার হয়েছে সেটা। ভালোই হলো, পরীক্ষকরা প্রথমেই ভড়কে যাবে।
এবার পুরো থিসিসটা পড়ে যেতে হবে শুরু থেকে।
একটানা। বক্তব্যের প্রবাহটা, বর্ণনার গতি সুষম রাখতে হবে। সেজন্য কিছু সংশোধন দরকার। জোরে জোরে পড়লে ভালো হয়। তাল ছন্দের বিভ্রাট কানে লাগে।
আহ বাসায় একটা ছোট ভাই-বোন থাকলে ভালো হতো। জোরে জোরে পড়তে লাগিয়ে দিতাম।
থিসিসের শুরুতে একটা কবিতা দেয়া দরকার। পানি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত। কৌশিকের ফ্যাক্টরিতে অর্ডার দিলে হয়।
তবে অনুবাদ করবে কে? কৌশিকের প্রিয় ব্লগারদের কেউ ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।