সযতনে খেয়ালী!
কয়েকদিন থেকেই মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। একটা অস্থিরতা সবসময় তাড়া করে ফিরছে। পরিচিত কোন কিছুই আর ভালো লাগছিলো না। ঘর-বাইর-কাজ করে করে হাঁপিয়ে উঠেছি। ব্লগিংও তেমন করে রি-ফ্রেশ করতে পারছিল না।
...একটা ঘুরণা দেয়াটা জরুরী হয়ে পড়েছিল। অথচ আশে পাশে তেমন জায়গা ও নেই যে হুট করে চলে যাবো। মানহাইমে ভাইয়ের কাছে যাওয়া যায়। কিন্ত সেখানেও যেতে ইচ্ছে করছে না।
হঠাৎ ই ব্লগের কল্যানে খুব কাছে চলে আসা একজন, সুমন চৌধূরী বল্লেন উইকেন্ডে চলে যেতে।
পাকা কথা দিলাম না, কারণ আমি জানি আমার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আর প্ল্যান করে আমি কখোনোই তেমন কিছু করতে পারি না, যতটা না পারি হুট হাট করে!
বার তিনেক প্ল্যান পরিবর্তন করেও শেষ পর্যন্ত দেড় ঘন্টার নোটিসে নিজেকে তৈরী করে রওনা হয়ে গেলাম কাসেল, সুমন চৌধূরি ওরফে বদ্দা যে শহরে থাকেন।
বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়ায় রাতের বেলা যখন নামলাম কাসেল 'আম স্টেয়ার্ণ' - এ ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটা রাত পৌণে দশটা। বদ্দা চুল দোলাতে দোলাতে এলেন আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
ঘরে ঢুকার পথেই কথা হলো তাঁর বন্ধু স্বনামধন্য টিটু ভাইয়ের সাথে।
(আপনারা হয়তো বদ্দার ব্লগে তাঁর ছবি দেখে থাকবেন)। কিছুক্ষণ পর যোগাযোগ হলো নাসির ভাই, বদ্দার আরেক চমৎকার বন্ধুর সাথে। রাত বেশি হয়ে যাওয়াতে আসবেন কিনা এই নিয়ে যখন দ্্বিধান্বিত, তখন ই আমি ফোন নিয়ে একটু কাঁচুমাচু করতেই বেচারা রাজি হলেন আসতে। (ধন্যবাদ নাসির ভাই রাতের বেলা কষ্ট করে আসার জন্য)
বদ্দা ইতোমধ্যে তাঁর প্রাগৈতিহাসিক ল্যাটকা খিচুড়ি রান্না শুরু করে দিয়েছেন (অলরেডি ব্লগে বিজ্ঞাপন ও দিয়ে দিয়েছেন)। সবার চোখ লাগানোর জন্যেই কিনা, খিচুড়িটা যে কি হলো সেটা নিয়ে বার কয়েক হাসির রোল পড়ে গেলো।
তবে টিটু ভাইয়ের "রুই স্পেশাল" টা চমৎকার ছিল। মাঝে টেলিফোনে কনফারেন্স করে কথা হলো অরূপ-মাশীদ দম্পতির সাথে।
গল্প চল্লো ভোর 6 টা পর্যন্ত। তারপর খানিক ঘুমের বিরতি, আবারো রান্না, আবারো ভুড়ি-ভোজন হলো আমাদের। ভোজন শেষে সবাই মিলে সামহোয়্যারে হুমড়ি খেয়ে পড়লাম।
হাসাহাসি, মাতামাতি চল্লো আরো কয়েকদফা।
সন্ধ্যার দিকে বেরিয়ে পড়ে একটু হাঁটা হাঁটি করে টিটু ভাই, নাসির ভাইয়ের বাসা হয়ে স্টেশন থেকে গাড়ি ধরে আমার গন্তব্যে চলে এলাম (আজ) রাতেই।
অনেক অস্থিরতা, বিক্ষিপ্ততার মাঝেও প্রায় 24 টা ঘন্টা একদম খারাপ কাটেনি মোটেও।
ছবি : কাসেলের ট্রেড মার্ক হারকিউলিস
উৎস : ইন্টারনেট
বিশদ বর্ণনা : বদ্দাকে জিজ্ঞেস করেণ, উনি জানেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।