আমার চিন্তা, আমার চেতনা, আমার অভিজ্ঞতা
শুক্রবার বিনা দোষে গ্রেফতারকৃত দুই সহোদর বাংলাদেশীকে মুক্তি দেওয়ার পর আরো একটি চাঞ্চল্যকর বর্ণবিদ্বেষী ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
ব্রিটেনে বর্ণবিদ্বেষ তীব্র আকার নিয়েছে। শুধু গ্রেফতার নয়, কারাগারেও মুসলিম বন্দিদের সঙ্গে বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গঠিত বিচারপতি কেইথের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ গুরুতর অভিযোগ লিখিত আকারে সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের তিনটি ভলিউমেই বলা হয়েছে, কারাগারে বর্ণবৈষম্য বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সেখানকার ছোট কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার অনেকেই জড়িয়ে রয়েছেন।
2000 সালে পশ্চিম লন্ডনের একটি কারাগারে উগ্র সাম্প্রদায়িক এক কয়েদির হাতে খুন হন এশিয়ান যুবক জাহিদ মুবারক। সে ঘটনার তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে গাফিলতি করেছিল কারা কতর্ৃপক্ষ। এরপর মুবারকের পরিবারের আবেদনে সাড়া দিয়ে ঘটনার তদন্তে নামেন বিচারপতি কেইথ। 62 জন প্রত্যক্ষদশর্ীর বিবরণ ও 153 জনের লিখিত বিবরণ সংবলিত 15 হাজার পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে অনেক অজানা সত্য কথা উঠে এসেছে।
ব্রিটেনের কারাগারগুলোতে এশিয়ান মুসলিম যুবক ও কৃষষ্ণাঙ্গদের দেখভালে অবহেলা করে থাকে কারা কতর্ৃপক্ষ।
খাবারসহ কয়েদিদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পেতেও বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয় সংখ্যালঘুদের। শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যা থেকে এসব বন্দি বঞ্চিত বলে প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। বিদেশী বন্দিদের জন্য পৃথক সেল তৈরি করার সুপারিশ রয়েছে প্রতিবেদনটিতে। কারাগারে বর্ণবৈষম্যের সমস্যা প্রাতিষ্ঠানিক নয়, কয়েকজন কমর্ীর মাধ্যমে এটা সৃষ্টি বলে প্রতিবেদনে সমালোচনা করা হয়।
মোবারকের হত্যাকান্ডের পর কয়েকটি কারাগারে বর্ণবৈষম্য রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বেশিরভাগ কারাগারের অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
প্রতিবেদনটি এ মুহূর্তে জনসমক্ষে প্রকাশ না করলেও এ মাসের শেষদিকে প্রকাশিত হবে বলে বিচারপতি কেইথের মুখপাত্র জানান।
প্রতিবেদনের একটি জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে, কারাগারগুলোতে 'গ্লাডিয়েটর গেম' শুরু হয়েছে। কৃষষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ান যুবকদের ইচ্ছা করেই শ্বেতাঙ্গ কয়েদিদের মধ্যে থাকতে দেওয়া হয়। কারাগারে বর্ণবৈষম্যের এ খেলা নতুন করে ব্রিটেনকে কলঙ্কিত করতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
সূত্রঃ লন্ডন থেকে প্রকাশিত অবজারভার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।