আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঝুলে আছে কাঁচা টাকা

যা বুঝি, যা দেখি, যা শুনি এবং যা বলতে চাই

টু্যরিস্ট স্পটগুলোতে বিশেষ ধরনের কিছু পর্যটকদের বিনোদন দিতে থাকে নানারকম জুয়ার ব্যবস্থা। সবসময় তা যে লাসভেগাসের মত ক্যাসিনো পর্যায়ের হয় তা না। অনেক সময় খুব অল্প টাকায় খেলা যায় সেরকম ব্যবস্থাই থাকে। জুয়ার চেয়ে সহজ বিনোদনই থাকে লক্ষ। ঢাকা শহরে মিনি বাজার বা বিভিন্ন প্রদর্শনী বা মেলাতে যেমন বিভিন্ন খেলা সাথে থাকে বড় পুরষ্কারের লোভ।

ইউকে-র সব সৈকত-শহরগুলোতে একেবারে সমুদ্র সৈকতে এরকম আয়োজন দেখা যায়। বোর্নমাউথও ব্যতিক্রম না। অস্থায়ী তাঁবুরমত একটা ঘরের ভেতরে আলো ঝলমলে অবস্থা। সপরিবারে লোকজন ঢোকে এতে। যদি কিছু কাঁচা টাকা পাওয়া যায়।

সবচে জনপ্রিয় হলো কাঁচা টাকা ঝুলে থাকার মেশিন। চ্যাপ্টা একটা স্টিলের পাতে পয়সা ঝুলে আছে। মেশিনটি নড়ছে। উপরে ফুটো আছে যে জায়গা দিয়ে পয়সা ভেতরে ফেলা যায়। দেখে মনে হয় আর একটা পয়সা ফেললেন হুড়মুড় করে অনেক পয়সা নীচে পড়বে।

কিন্তু বাসত্দবে তা হয় না। পয়সাগুলো একটার নীচে একটা ঢুকে যায়। বিপদজনকভাবে ঝুলে থাকে আর জুয়াড়ির মনে আশার দোলা দেয়। ছোট্ট ক্রেন দিয়ে বাঙ্রে ভেতর থেকে পছন্দের পুতুল তুলে নেয়ার খেলা আছে। আছে সস্নট মেশিন।

হাতলটা টান দিলে যদি একইরকমের ছবি আসে তাহলে ঝুর ঝুর করে পড়বে পয়সা। আহা কখনও নিজের ভাগ্যে ঘটতে দেখিনি। ছোট ছোট শিশুরাও খেলে মায়েদের সাথে। কাঠের ঘোড়ার দৌড়ে দেখলাম একটি শিশু চিৎকার করে যাচ্ছে ফাইভ ফাইভ বলে। কিন্তু জিতলো দু'নম্বর ঘোড়া।

আসলে বিষয়টাই দু'নম্বরি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।