আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৈকতের পরিবেশ রক্ষার কৌশল

সমুদ্র-তীরবর্তী শহরে বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাটের আবর্জনা মিশে বিপুল পরিমাণ তরল বর্জ্য তৈরি হয়। এতে থাকে নানা ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া। এই তরল বর্জ্য সমুদ্রতীরের পানিকে দূষিত করে। কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনের সৈকত বর্তমানে এ ধরনের দূষণের শিকার। তবে এটি এখনো সহনীয় মাত্রার।

কিন্তু দূষণ বাড়লে এ থেকে রেহাই মিলবে কীভাবে?যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র-তীরবর্তী একাধিক শহরের সৈকতে ২০১১ সালে ব্যাপক দূষণের ফলে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমস্যাটি দূর করতে দেশটির নর্থ ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা তৈরি করেন ‘স্যান্ড ফিলট্র্যাশন সিস্টেম’ বা বালুর সাহায্যে পরিশ্রুতকরণ (ফিল্টার) পদ্ধতি।
১.   বৃষ্টির পর বর্জ্যমিশ্রিত পানি বালুর মধ্যে দেড় থেকে আড়াই ফুট গভীরে স্থাপিত পাঁচ ফুট চওড়া মুখখোলা পাইপের  মধ্যে পড়ে।
২. দূষিত বর্জ্যমিশ্রিত পানি কাঁকর বিছানো একটি ছড়ানো স্থানে পড়ে, যা ফিল্টার হিসেবে কাজ করে।
৩. দূষিত পানি কাঁকর ও বালুর বাধা পেরিয়ে মাটির নিচে পানির স্তরে পৌঁছায়।

এ সময় বালুতে আটকা পড়ে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়।
৪. দূষিত পানি ৭৫ ফুট মাটির নিচে পৌঁছানোর পর সব ধরনের ব্যাকটেরিয়ামুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ ভূগর্ভস্থ পানির মতো বিশুদ্ধ হয়।
৫. বালুতে ফিল্টার পদ্ধতির পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয় প্লাস্টিকের নল ও কাঁকর।

সূত্র: পপুলার সায়েন্স ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.