অন্যায়ের বিরোধে প্রতিবাদি হতে চাই
পড়ুন শিক্ষকদের বাঁচার লড়াইয়ের করুন কাহিনী
-------------------------------------------------
একজন শিক্ষকের ছাএ হিসাবে আমি অনেক লজ্জিত
------------------------------------------------------
শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। জ্ঞানের দ্যুতি ছড়িয়ে শিক্ষক মানুষের বিবেক জাগিয়ে তোলেন। জীবন আলোকিত করে তোলেন। সেই শিক্ষকরাই আজ রাস্তায় নেমেছেন। শিক্ষকরা বলছেন, “এই লড়াই অস্তিত্বের লড়াই, এই লড়াই বাঁচার লড়াই।
”
এমপিওভুক্তির দাবিতে বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ এবং মাদরাসার শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ তাদের কোথাও বসতে দিচ্ছে না। যেখানেই যান সেখান থেকেই শিক্ষকদের তুলে দেন পুলিশ। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছিল শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। কিন্তু সেখান থেকেও পুলিশ তাদের তুলে দেন।
বিকেলে সেখানেই বাংলানিউজের দুই প্রতিবেদক কথা বলেন শিক্ষকদের সঙ্গে। আলাপকালে জানা যায়, শিক্ষকদের মর্মস্পর্র্শী জীবন সংগ্রামের কথা। শিক্ষকরা জানান, বছরের পর বছর বেতন না পাওয়ায় বেঁচে থাকতে তাদের কেউ কেউ রিকশা চালান। কেউ করেন দোকানের কর্মচারীর কাজ। কর্মচারীদের কেউ কেউ রাতে চালান রিকশা ও কেউ ধরেন মাছ।
শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম এ যেন এক করুণ কাহিনী।
পোশাক-আশাকের মতোই বিবর্ণ হয়ে উঠেছে ড. মীর আনোয়ার হোসাইনের মুখ। কয়েকদিন ধরে একই শার্ট গায়ে তার। এখন সেটার ময়লা ভেসে উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে এমপিও (মানথ্লি পেমেন্ট অর্ডার)-এর দাবিতে সারাদেশ থেকে আসা অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে তিনিও গিয়েছিলেন ন্যাম-ভবনে সংসদ সদস্যদের কাছে স্মারকলিপি দিতে।
বেলা ১২টার দিকে পুলিশের পিপার গ্যাস আর গরম পানির সামনে দাঁড়াতে পারেন নি শিক্ষকরা। অন্য সকলের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে চলে আসেন তিনি।
মীর আনোয়ার হোসাইন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। জ্ঞান বিতরণ আর অর্জনের ব্রত নিয়েই শুরু করেন শিক্ষকতা। ২০০৭ সালে সম্পন্ন করেন পিএইচডি।
কিন্তু ডক্টরেট ডিগ্রি এখন তার কাঁধে লাঞ্ছনার বোঝা যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
ডক্টরেট ডিগ্রিধারী এই মানুষটি গত ১৩ বছর ধরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ।
মঙ্গলবার বিকেলে টিএসসি সড়কদ্বীপে কথা হয় বাংলানিউজের সঙ্গে। জানান, কলেজের অধ্যক্ষ হয়েও গত ১২ বছর ধরে আয় নেই আনোয়ারের। শ্বশুরবাড়িতে থাকেন।
বলেন, ‘মানুষে ঘরজামাই বলে ডাকে। এলাকাবাসী যেনে গেছে আমি এমন অধ্যক্ষ যার কোনো বেতন নেই। রিকশাওয়ালাও অনেক সময় যাত্রী হিসেবে নিতে চায় না। জানে ভাড়াও বাকি দিতে হতে পারে। ”
প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্বরত রয়েছেন আনোয়ার।
একই কলেজে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন তার স্ত্রীও। দুজনে চাকরি করলেও আয় শূন্য। আবার কলেজের অধ্যক্ষ এবং ডক্টরেট ডিগ্রির বোঝার কারণে টিউশনি করাও এখন লজ্জার ব্যাপার।
তার কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮০ জন। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ।
ছেলের বয়স ৭ এবং মেয়ের বয়স ৬ মাস। এই কলেজে শিক্ষক রয়েছেন মোট ১৭ জন এবং কর্মচারী আটজন।
২০০২ সালেই প্রাথমিক অনুমোদন পায় কলেজটি। এরপর ২০০৭ সালে স্বীকৃতি পায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত না হওয়াতে শিক্ষক কর্মচারী কেউই বেতন পাচ্ছে না।
এদিকে শ্বশুরও একটি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তার ওপরই বোঝা হয়ে রয়েছেন অধ্যক্ষ আনোয়ার। এখন জীবন চালাতে কৃষিকাজ করেন তিনি। তারপরও শিক্ষকতাকে ছাড়তে পারেন না।
ঢাকা এসে আন্দোলন করার অর্থ নিজের কাছে ছিল না আনোয়ারের।
পরিচিত একজনকে অনেক অনুরোধ করে ২ হাজার টাকা ধার নিয়ে ৬ জানুয়ারি ঢাকা আসেন তিনি। ভাবেন নি এতোদিন থাকতে হবে।
বলেন, “ভেবেছি অন্তত একটা আশ্বাস পাব সরকারের কাছ থেকে। দুই বা তিনদিনের মধ্যেই আবার ফিরে যেতে পারবো দিনাজপুরে। মেয়ে ফোন দিয়ে শুধু বাড়ি যেতে বলছে।
টিভিতে দেখায় আমাদের ওপর হামলা করে পুলিশ, বাড়িতে সবাই খুব চিন্তা করছে। ”
তিনি বলেন, “ভাই মেয়েটা এবার নতুন ক্লাসে যাওয়ার আগে একটা নতুন জামা আবদার করেছিল। তা-ও দিতে পারি নাই। সবসময় ছোট হয়ে থাকি। ”
ঢাকায় এক ভাতিজার মেসে এসে উঠেছেন তিনি।
কিন্তু আর বেশিদিন মনে হয় থাকা সম্ভব হবে না। বুঝতেছি না কি করব... দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ছোটখাট গড়নের, কিন্তু জ্ঞানের ছাপ পড়া মুখবয়ব থেকে।
এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ৭ জানুয়ারি সকালে শিক্ষাভবন ঘেরাও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শুরু হয় নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের আন্দোলন। এরপর ৯ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের সামনে, ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, ১২ জানুয়ারি মানবাধিকার কমিশনের সামনে, ১৫ জানুয়ারি ন্যামভবনের সামনে শিক্ষকদের ওপর হামলা করে পুলিশ।
কোথাও দাঁড়াতে দিচ্ছে না শিক্ষকদের।
সবখানেই আইনি বাধা দেখিয়ে আর বিনা অনুমতির অজুহাতে শিক্ষকদের ধাওয়া করছে পুলিশ।
টিএসসিতে আরো কথা হয় ৪২ বছরের হজরত আলীর সঙ্গে। বিকেল ৫টা বেজে গেলেও এখনো দুপুরের খাবার পেটে যায়নি তার। বলেন, বাড়ি থেকে আনা দেড় হাজার টাকা প্রায় শেষ। এক বন্ধুর সঙ্গে মেসে থাকছে গত ৭ দিন ধরে।
আর দুপুরের বেলা আন্দোলনে থেকে আর খাওয়াও হয় না।
সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানা’র ডিএসএ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী। ১৯৯৮ সালে স্থাপিত এ প্রতিষ্ঠান সরকারের স্বীকৃতি পায় ২০০০ সালে। ২ ছেলেমেয়ের বাবা আলী সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস নেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ এবং পরে বিএড সম্পন্ন করেন তিনি।
শিক্ষকতা করলেও গত ১৩ বছর ধরে কোনো বেতন নেই। তাই সংসার চালাতে স্থানীয় বাজারের একটি দোকানে কাজ করেন তিনি।
দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক বলে টিউশনিও করাতে পারি না। আমাদের স্কুলের আশপাশে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো মাধ্যমিক বা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকলেও এমপিওভুক্ত হচ্ছে না এ স্কুলটি।
১৯৯৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন আবদুস সালাম।
জয়পুরহাট জেলার মোলামগাড়ী আদর্শ কলেজে গত ৪ বছর ধরে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্ন ১৯৯৮ সাল থেকেই এখানে শিক্ষকতা করছেন তিনি। অভিজ্ঞতা বেড়েছে, পদোন্নতিও হয়েছে। কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে একবারো বেতনের দেখা পাননি।
বড় ছেলে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র এবং ছোট ছেলের বয়স মাত্র দুই বছর।
স্কুলের বাইরে অন্য সময়ে জমি দেখাশোনা করেন তিনি। সেখান থেকে যে আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চলে তার।
কলেজের কর্মচারীদেরও বেতন নেই। আলী জানান, এখানকার চারজন পিয়নের কেউ রাতে মাছ ধরে, আবার কেউ রিকশা চালায়। বেতন দিতে পারি না।
এমপিও হবে কোন একদিন এ স্বপ্নে তারা চাকরি ছাড়ে না। কলেজটিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
দিনাজপুরের শাহনূর আলীর বয়সও ৪০ এর কোঠায়। পার্বতীপুর উপজেলার আইডিয়াল বিদ্যানিকেতন স্কুলের মাধ্যমিক পর্যায়ের কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি। মাধ্যমিক এ স্কুলটিতে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়েছে।
কিন্তু মাধ্যমিকের এমপিও না হওয়াতে বেতন পাচ্ছেন না তারা।
১৯৯০ সালে এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯২ সালে সরকারি স্বীকৃতি পায়। ২০০২ সালে এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পান শাহনূর। কিন্তু গত ১১ বছর ধরে এই স্কুল থেকে ১ টাকা বেতনও পাননি।
চল্লিশোর্ধ এ শিক্ষক আয়ের জন্যে স্কুল সময়ের বাইরে বাজারে গেঞ্জি বিক্রি করেন। বলেন, “ভাই আজ লজ্বার কথা বলি, এমনকি অনেক সময় রাতে শহরে যেয়ে রিকশাও চালিয়েছি। ” দুই ছেলে মেয়ের পিতা শাহীনূর। মেয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে এবং ছেলের বয়স মাত্র দুই বছর।
মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার জন্যে জামাও কিনে দিতে পারছে না বলে করুণ কণ্ঠে জানান তিনি।
এ স্কুলে ৩৫০ এর মতো শিক্ষার্থী রয়েছে।
পাবনার বাসুদেবপুর দাখিল মাদ্রাসা। ১৯৮৪ সালে এবতেদায়ী প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ২০০৪ সাল থেকে শুরু হয় দাখিল শ্রেণী। আফজাল হোসেন ২০০৪ সাল থেকে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন।
বেড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেই এ মাদ্রাসায় নিযুক্ত হন তিনি। ৭ বছর বয়সী এক মেয়ের জনক তিনি।
রাত হলে শহরে রিকশা চালান এই মাদ্রাসা শিক্ষক। এ কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারী মিলে মোট ১৫ জন রয়েছেন।
জয়পুরহাটের আশরাফ আলী দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হাকিমপুর টেকনিক্যাল বিএম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার প্রথম থেকেই তিনি এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পান। ১৯৯৬ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
দেরিতে বিয়ে করেছেন তিনি। এক মেয়ে রয়েছে তার।
বিএনপি ও চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৪ সালে প্রথমে একটি এমপিও তালিকা করলে সেখানে নাম ছিল এই প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু কাটাছেঁড়া করে নতুন তালিকা করলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বাদ পড়ে।
আবার ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা প্রথম এমপিও’র তালিকায় তার প্রতিষ্ঠানের নাম থাকলেও পরের বার বাদ পড়ে। মোট ১৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এ কলেজে। শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন ১২ জন।
অভাবের সংসারে ২০১০ সালের দিকে তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু চিকিৎসার খরচ নেই। নিজের কিছু জমি চাষ করেন। টানাটানির সংসারে টিউশনি না করে আর চলতে পারেন না তিনি। রাতে ২ থেকে ৩টি করে ব্যাচ পড়ান বলে জানান তিনি।
এক এক ব্যাচে ৫ থেকে ৭ জন করে শিক্ষার্থী রয়েছে।
এমপিও’র দাবিতে রাজধানীতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের প্রায় সবাই বিনা বেতনে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন। একেকটি করুণ গল্প।
যাতে তাদের বাস্তব অবস্থাটা লেখনিতে তুলে ধরা হয় সে জন্যে অনুরোধের চাইতেও মিনতি যেন ছিল বেশি।
এদিকে গত আটদিনের আন্দোলনকে আমলে নেয়নি সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রয়েছেন নিজ এলাকা সিলেটে আর সচিব রয়েছেন বিদেশে। একবারের জন্যেও সরকারের কেউ দেখা করেন নি তাদের সঙ্গে। রাষ্ট্র শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশের পিপার-স্প্রে (মরিচের গুঁড়া) আর গরম পানি দিয়ে।
তবে গত শনিবারে সিলেটে স্টেডিয়ামে এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন, নতুন বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে নন-এমপিও স্কুলগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
তবে সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে এখনই নতুন কোনও বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করা সম্ভব নয়।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার দুই বছর আগে নতুন দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছে। জাতীয় বাজেটের শিক্ষাখাতের ৬৪ ভাগই শিক্ষকদের বেতন বাবদ চলে যায়। এমপিওভুক্তির জন্য সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার স্কুলের শিক্ষক আন্দোলন করছেন। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে এখনই তাদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি ইশারত আলী বলেছেন, “সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরে যাবো না, লড়াই চালিয়ে যাবো। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সামাজিক ভাবেও আমরা এখন কাউকে মুখ দেখাতে পারি না। তাই এই লড়াই আমাদের বাঁচার লড়াই। অস্তিত্বের লড়াই।
আশা করছি সরকার আমাদের কষ্ট বুঝবেন। ”
আহমেদ রাজু ও মাজেদুল নয়ন
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।