তরুণদের ভাল কিছু করার আকাঙ্খা যখন তারনা দেয়, একটা দেশ তখনই অগ্রসর হয়।
কেজিতে থাকতে প্রিঞ্চিপাল ম্যাডাম আমাকে একটা পুরষ্কার দিছিলেন, কারন এনুয়াল স্পোর্টের সময়, ব্যাঙ লাফের বদলে খালি ডিগবাজি দিচ্ছিলাম, আমি ট্রায় করা ছাড়ি নি দেখে আমাকে সেই পুরষ্কার দিছিলেন।
ক্লাস ২তে থাকতে ২এর ঘরে নামতা মুখস্ত করতে না পারায় মাইর খাইছিলাম, সাহানা ম্যাডামের কাছে, ম্যাডাম মুখস্ত না করে অন্য উপায় পরে শিখিয়ে ছিলেন।
রচনা শিখি নাই দেইখা রৌশন আরা ম্যাডাম ক্লাসের বাহিরে দাড় করিয়ে রাখছিলেন।
বকুল ভাই জালি বেতে লাল ট্যাপ পেচায়া তারপর বলতেন, সামনে না পিছে, গর্ভভরে নিতম্ব পেতে দিতাম।
রবীন্দ্রনাথ স্যার, কোন দিন মাইর খাই নাই, তবে স্যার আপনাকে অনেক ভয় পাইতাম।
নাত্থি মেরে ৩তালা থেকে কোন দিন মৃদুল স্যার কাওকে ফেলে ছিলেন কিনা জানি না, তবে আমি ঠিকই ভয় পেতাম কারন যদি বলে বসেন "কোথা থেকে উঁরে এচে জুড়ে বসে ছিস?"
খুলনাতে রেজা স্যার আঙুলের ফাঁকে কলম দিয়ে যখন চাপ দিতেন, দুনিয়াটা তখন সাদাকালো মনে হতো।
ইংরেজি সাবজেক্টটার জন্য ভালোবাসা জন্মাইছিলই জাহাঙ্গীর স্যারের জন্য।
মেথ এ কম মার্ক্স পাওয়ার জন্য শফিক স্যার খালি গা করে কান ধরাইয়া লাইন ধরে আমাদের খালিশপুরের রাস্তায় হাটাইছিলেন, সেই লাইনের আমার সহপাঠীরা বুয়েট পাস করা ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার আর ডিফেন্স অফিসারও আছে, খুলনা গেলে স্যারের পা ধরে বসে থাকার ইচ্ছা আছে। মতিউর রহমান স্যারের বাসা গোয়ালখালি কবর স্থানের সাথে লাগানো, খুলনা ছেড়ে আসার সময় বলে আসছিলাম, স্যার কিছু একটা হয়েই আবার আসবো, স্যার বলছিলেন, হয় এই খানে নয়তো পাশেই পাবি, স্যার কে জড়াইয়া ধরে কিছুক্ষণ কাঁদছিলামও, স্যারের দেয়া সবচেয়ে বড় শিক্ষা, "বাবা মাকে কক্ষনো কষ্ট দিস না"।
শরীফ স্যার এর স্নেহ কক্ষনোই ভুলার মতো না। এক জন টিচার যে এক জন ভালো বন্ধু হতে পারেন, আজাদ স্যার কে না পেলে জানতাম না। কিছুদিন আগে ক্লাসে নেহাল স্যার বললেন, আমি তার প্রিয় ছাত্রের এক জন, দায়িত্ব যেন আরও বেড়ে গেলো। ডিজি স্যার তো আমাকে বলছেনই আমি তার ছেলের মতো, আমাকে নামও দিয়েছেন একটা "কালো পাহাড়", ইকোনমিক্সের একটা প্রেজেন্টেশনে স্যারের সামনেই চাপা মাড়া শুরু করছিলাম, স্যার বলছিলেন, "আমি তো ইকনমিক্স কিছু বুঝি নাকি?"
নিজেকে সব সময়ই অথর্বই মনে হতো, আমার জিবনে এই পর্যন্ত আসা শিক্ষকরাই আমাকে উপলব্ধি করিয়েছেন, আমাকে দিয়ে কিছু একটা সম্ভব। কোন দিন ভুলবো না আপনাদের অবদান।
৫ই অক্টোবর অর্থাৎ আজ, বিশ্ব শিক্ষক দিবস,
পৃথিবীর সকল শিক্ষকের সুস্থ এবং শান্তিময় জীবন কামনা করতেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।