পল্লীবিদ্যুতের ভৌতিক বিল, ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ ও লোডশেডিং বন্ধের দাবিতে গতকাল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ এবং মাদারীপুরের রাজৈরে বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
লক্ষ্মীপুর : রায়পুর ও রামগঞ্জে ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধের দাবিতে দুপুরে স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। এ সময় রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়ক ৪ ঘণ্টা অবরোধ করে মিছিলসহ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্র্শী ও পুলিশ জানায়, জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় ৩-৪ দিন ধরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ না থাকায় স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্যপরিষদের উদ্যোগে রায়পুর বাজারে সকাল ১০টায় পল্লীবিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুরুল আনোয়ার বাচ্চু, রায়পুর পৌরসভার কাউন্সিলর জাকির হোসেন নোমান, বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক রোমান পাটোয়ারী প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে রায়পুর- লক্ষ্মীপুর সড়ক অবরোধ করে তারা। দুপুরে উত্তেজিত গ্রাহকরা নতুন বাজার এলাকার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দরজা-জানালা ও সীমানাপ্রাচীর ভাঙচুর করে এবং গেটের সামনে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে দুপুর ২টায় রায়পুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে অবরোধ তুলে দেয়। একই দাবিতে রামগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসেও হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অভিযোগ, ৩-৪ ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা বিদ্যুতের দেখা মেলে। যেখানে লো-ভোল্ডেজ থাকে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবির, ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা বিঘ্ন, মিল-ফ্যাক্টরির উৎপাদন ব্যাহতসহ জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ জন্য বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। লক্ষ্মীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার শিবু লাল বসু বলেন, বিদ্যুতের চাহিদার ৩ ভাগের ১ ভাগ পাচ্ছি। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস এলাকা ও শহরের প্রধান সড়কে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উত্তেজিত গ্রাহকদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে। মাদারীপুর : রাজৈরে বিদ্যুতের দাবিতে টেকেরহাট বন্দর পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টায় বিদ্যুতের দাবিতে বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তারা ভৌতিক বিল বন্ধ, ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ ও লোডশেডিং বন্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এ ছাড়াও দালালমুক্ত পল্লীবিদ্যুৎ অফিস চাই স্লোগান দেয়। হামলায় বিদ্যুৎ অফিসের মোটরসাইকেল, জানালার গ্লাস, স্টোর রুমের সাটার এবং পিকআপ ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করলে রাজৈর থানা পুলিশের উপস্থিতি দেখে পালিয়ে যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।