আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র টেকসই

দারিদ্র্য বিমোচনের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সাউথ সাউথ পুরস্কার গ্রহণ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল নিউইয়র্কে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দিয়েছেন এবং তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কমনওয়েলথের মহাসচিব কমলেশ শর্মা ও মার্কিন কংগ্রেসম্যান পিটার কিং। কমলেশ শর্মার সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে টেকসই করবে।

আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি শাবান মাহমুদ, ওয়াশিংটন প্রতিনিধি দর্পণ কবীর, বেসরকারি বার্তা সংস্থা এনা ও রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের তথ্যানুসারে, কমনওয়েলথ মহাসচিব কমলেশ শর্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিউইয়র্কে হোটেল হায়াতে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, আমাদেরকে সংবিধান সমুন্নত রেখে একটি নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। আগামী নির্বাচন দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক শাসনকে টেকসই করবে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় ৬ হাজার নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে প্রায় ৬৪ হাজার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বিরোধী দলের অনেক প্রার্থী সরকারদলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনগুলোতে সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করায় এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেনি। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন যে বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনও মুক্ত, অবাধ ও সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ পন্থায় অনুষ্ঠিত হবে। কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে আগামী নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে পুনরায় আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ওই বৈঠকে তার (শেখ হাসিনা) উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেখানে বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশসহ সদস্য দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায় অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ওয়ালডর্ফ এস্টোরিয়া হোটেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত সংবর্ধনায় অংশ নেন। সেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

পিটার কিং-এর সাক্ষাৎ : হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান পিটার কিং দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের জেনারেল সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) সুবিধা স্থগিতজনিত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অন্যথায় এই ইস্যু বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টরের ক্ষতি করবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি সম্পর্কে লং আইল্যান্ডের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এখন বাংলাদেশের জন্য কোনো ইস্যু নয়। জিএসপি সুবিধার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, এই সুবিধা স্থগিতকরণ মূলত শ্রমিকদের বিপক্ষে গেছে, যা শ্রমিকদের দক্ষতা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের অন্তরায় হবে। এসব অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল এমপি, পার্লামেন্ট সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ উজ জামান, প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালো পতাকা দেখাতে পারেনি বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ৯টায় জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণ করলেও সমবেত নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানাতে পারেননি। একইভাবে বিএনপি দেখাতে পারেনি কালো পতাকা কিংবা বিক্ষোভ। এয়ারপোর্টের নিরাপত্তা রক্ষীরা এবার বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করে দুই পক্ষকে দূরে রাখে। পুলিশের ব্যারিকেডের ভেতরেই বিএনপিকে বিক্ষোভ করতে হয়। একইভাবে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনকেও স্বাগত স্লোগান দিতে হয় পার্কিং লট থেকে। শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এয়ারপোর্টে টার্মিনালের ওয়েটিং রুমের কাছাকাছি অবস্থান নিলেও পরে উপস্থিতি ব্যাপক হলে সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে পার্কিং লটে জায়গা দেওয়া হয়। এ সময় দেওয়া স্লোগানের একপর্যায়ে যুবলীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মাঝামাঝি অবস্থান নেওয়ায় তা বেশি দূর গড়ায়নি। আওয়ামী লীগের অবস্থান থেকে কয়েকশ গজ দূরে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরস্পরের দৃষ্টিসীমার বাইরে অবস্থান করায় আক্রমণাত্দক স্লোগানেও উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারেনি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.