বুধবার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “যেহতু সংসদ রেখেই নির্বাচন হচ্ছে, তাই নির্বাচনকালে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের আচরণ কেমন হবে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আচরণবিধি ঠিক করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তবে এটি প্রণয়নের জন্য সকল দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। ”
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় বর্তমান সংসদ ও সরকার বহাল থাকা অবস্থাতেই আগামী নির্বাচন হবে। এই অবস্থায় নির্বাচনকালে মন্ত্রী ও সাংসদদের আচরণবিধি কেমন হবে, সবার জন্য প্রচারের সমান সুযোগ সৃষ্টিতে জটিলতা হবে কি না- এসব বিষয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলীও এর আগে বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় সবার জন্যে সমান সুযোগ তৈরিতে বিদ্যমান আচরণবিধি সংবিধানের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ বিধিতে সংশোধন আনতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে ইসি।
‘শান্তির বাংলাদেশ গড়তে সংবিধান সম্মত নির্বাচন চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী সুরঞ্জিত বলেন, “এই আচরনবিধি গণতান্ত্রিক ও সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সর্বসম্মতভাবে বিধি তৈরি হলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ খুঁজে পাব।
”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন কখন কীভাবে হবে স্পিকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন। যেহেতু সংসদ ভাংছে না, তাই এর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে নির্বাচনের ঘোষণা আসতে হবে। আর এ ঘোষণা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। ”
সবার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে তারিখ নির্ধারণ হলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলেও মত দেন সুরঞ্জিত।
সর্বশেষ সংবিধান প্রণেতা কমিটির এ সদস্য আন্দোলনরত বিরোধীদলকে সংসদে এসে নিরপেক্ষ নির্বাচনের রূপরেখা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সংসদের অধিবেশন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এটিই দুই দলের মধ্যে সমঝোতার শেষ সুযোগ। আশা করি বিএনপি এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের প্রস্তাব পেশ করবে। ”
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি বলে আসছে, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা যাবে না। সমঝোতার জন্য সংলাপের দাবি জানালেও সংসদে গিয়ে প্রস্তাব দেয়ার আহ্বানে তারা এখনো সাড়া দেয়নি।
বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত বলেন, “তত্ত্বাবধায়কের প্রতি যদি আপনাদের (বিএনপির) আন্তরিকতা থাকে তাহলে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করুন।
সরকার গঠন করলে আপনাদেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে তত্বাবধায়কে ফেরার। ”
আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজপথে ‘ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড’ চালানোয় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দল জামায়াতে ইসলামকে ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসী’ সংগঠন আখ্যায়িত করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, “জামায়াত আর কোনো রাজনৈতিক বা গণতান্ত্রিক দল নেই। আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজপথে অবস্থান নিয়ে তারা প্রমাণ করেছে- তারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন। তাদের এ অবস্থান দেশের বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান।
”
বিএনপিকে জামায়াতে সঙ্গ ত্যাগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।