আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গৃহপালিত চিড়িয়া দুদক তাই আবুল হোসেনের দেশপ্রেমিক সার্টিফিকেট বহাল!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আওয়ামী-বাকশালী গং প্রতিদিন যেভাবে নিত্য নতুন বিভ্রান্তিকর, বিকৃত ও মিথ্যা প্রচার করছে তাতে মনে হয় প্রতিদিনই একের পর এক নব্য গোয়েবেলসের জন্ম হচ্ছে। ২০১১ সালে যখন প্রথম তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুর কন্সালটেন্সি ফার্ম হতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ আসল তখনই হাসিনা গং এটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইল। ডঃ ইউনুসকে এর জন্য দায়ীতো করেছিলই এমনকি এটাকে যুদ্ধাপরাধীদের ষড়যন্ত্র বলেও চালিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ যখন বিশ্বব্যাংক এই র্দূনীতির বিষয় তদন্ত ও জড়িতদের বিচারের আওতায় না নিলে ঋণ দিবে না তখনই শুরু হল দুদকের নতুন নাটক। কারণ বিশ্বব্যাংক জুনে ঋণ বাতিলের আগে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পায়নি এবং নির্দোষ বলে ঘোষণা দিয়েছে।

তাই আরও কয়েক মাস আবুল যোগাযোগ মন্ত্রীর পদেই রয়ে যায়। এরপর যখন বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাতিলে দেশে হৈ চৈ হল তখন আবুলকে যোগাযোগ হতে সরিয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হল। এই খুশীতে হাসিনা বলে দিল "আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক"। এর সাথে মসিউরকে ছুটি এবং মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে দুদকের পুনরায় তদন্তের ঘোষণায় বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নিয়ে পুনরায় বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয়। বলে দেয় যথাযথ তদন্ত এবং মূল সহ অন্যান্য দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিলেই তারা চূড়ান্ত ভাবে ঋণ দিবে।

সবাই আশা করছিল আবুল হোসেন এবং আবুল হাসান এই মূল দুইজনকেই দুদক হয়ত এই র্দূনীতিরে মামলায় অন্তর্ভূক্ত করবে। এই নিয়ে সরকারপন্থী দৈনিক সমকাল ও জনকন্ঠও রিপোর্ট করে দুই আবুলের বিরুদ্ধে এজাহার দিবে। কিন্তু সবাইকে বিস্মিত করে মূল দুই আবুলকেই বাদ রাখা হয়। অথচ বিশ্বব্যাংকের ইঙ্গিতই ছিল এই দুই আবুলই আসল হোতা। কিন্তু দুদক যেহেতু হাসিনার গৃহপালিত তাই তাদের পক্ষে সম্ভব নয় এই দুই আবুলকে মামলার মধ্যে ফেলা।

কারণ হাসিনার অজান্তে আবুল হোসেন কানাডায় যেয়ে ঘুষ চেয়েছে সেটা অসম্ভব ব্যাপার! ইতিমধ্যে দুদকের মতলবি এজাহার ও তদন্তের প্রতিবেদন বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো হয় বিশ্বব্যাংকও তার জবাব দেয়। এই জবাবের পরিস্কার কথা গুলো দুদকের কমিশনার শাহাবুদ্দিন বিকৃত করে সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দিলেন যে বিশ্বব্যাংক নাকি দুদকের কাজে সন্তুষ্ট; Click This Link কিন্তু দুদক ভুলে গেছে যে এটা মিডিয়া বিপ্লবের যূগ। তাই পরের দিন জানলাম; তদন্তে অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাংক Click This Link যেহেতু দুদক আক্ষরিক অর্থেই হাসিনার গৃহপালিত চিড়িয়া তাই শাহাবুদ্দিন নিজের পূর্বের কথাকেই ডিফেন্ড করলেন; বিশ্বব্যাংকের সন্তুষ্টিবিষয়ক মন্তব্য ‘যা বলেছি বুঝেশুনেই বলেছি’ Click This Link শাহাবুদ্দিনের মুখে যা প্রতিধ্বনি হয়েছে তা আওয়ামী-বাকশালীদের চুরি শিনাজুড়ির মতই। শেয়ারাবাজার, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ, ডেষ্টিনি, হলমার্ক লক্ষ কোটি টাকার র্দূনীতি হলেও অর্থমন্ত্রী মুহিত বলে কিছুই হয়নি। তাই শাহাবুদ্দিন ব্যাতিক্রম হলেই বরং অস্বাভাবিক লাগত।

দেশের সাধারণ জনগণ কি ভাবল না ভাবল তার চেয়ে শেখ হাসিনার ব্যাক্তিগত স্বার্থই দুদকের কাছে মূখ্য। ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নের কোন মূল্য নেই। হাসিনার দেশপ্রেমিক উপাধি দেওয়া আবুল ও তার পিছনের নেপথ্য কালপ্রিটকে বাচানোই যেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। ১৯৭২-৭৫ সালে মুজিবও এমনই করত। বহু চোর-বাটপার, কালোবাজারী ও র্দূনীতিবাজকে মুজিবের আমলে ধরা হলেও কোন বিচার না করেই কয়েকদিন পরে ছেড়ে দেওয়া হত।

কারণ গ্রেফতারকৃতরা সবাই দলীয় ছিল। আর শেখ হাসিনা আরো কয়েক ডিগ্রী বেশী। কারণ বাঘেরও দয়া মায়া আছে যা শেখ হাসিনার নাই। হাসিনা পণ করছে যেভাবেই হৌক আবুল হোসেনকে সে ক্ষমতায় থাকতে বিচারেতো দূর গ্রেফতার পর্যন্ত হতে দিবে না। কারণ দুদক আজকে বলছে যে; রাজনৈতিক হট্টগোলের ভয়ে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি Click This Link রাজনৈতিক হট্টগোলের বিষয় বাহানা মাত্র।

বিরোধী দলের কেউ হলে তাকে সহজেই পুলিশ দিয়ে ঠ্যাঙানো যায়। হাসিনার সরকারের যেই র্দূনীতি করুক তাকে মামলায় ফেলে দুদকের কেউই নিহত বা গুম হওয়ার ঝুকি নিবে না। তার চেয়ে হাসিনার পক্ষে সাফাই গেয়ে যাওয়াই একমাত্র কর্ম তথা চিড়িয়া হয়েই থাকা দুদকের জন্য শ্রেয়!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.