চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে হারের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি আবাহনী। চারদিনের ব্যবধানে আবারও হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে প্রিমিয়ার ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দলটি। গতকাল ধানমন্ডিপাড়ার দলটি হেরেছে এবারের লিগের অন্যতম দুর্বল বলে বিবেচিত কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমীর কাছে। হেরেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ওয়ালটন প্রিমিযার ক্রিকেট লিগে চার ম্যাচে এটা আবাহনীর তৃতীয় হার। দিনের অন্য ম্যাচে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে চতুর্থ হার উপহার দিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। লিগে ব্রাদার্স তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে।
বিকেএসপি-৩ নম্বর মাঠে আবাহনী-কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির ম্যাচ শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর। আগের রাতের ভারী বর্ষণ ও সকালের বৃষ্টির জন্য খেলা দুপুর ১২টায় শুরু হয়। দেরিতে শুরু হওয়ায় খেলা নির্ধারিত হয় ৩৪ ওভারে। আবাহনী প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে। এই স্কোরও গড়তে পারত না, যদি না শ্রীলঙ্কার থিলান কান্দাম্বী ৩৮ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস না খেলতেন। তার ইনিংসে ৫টি চার ছাড়াও ছিল ২টি ছক্কা। তবে আবাহনীর এবারের লিগে সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেটারের নাম অনূধর্্ব-১৯ দলের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। চার ম্যাচেই রান করেছেন। যার একটি আবার সেঞ্চুরি। তার স্কোরগুলো ৩৪, ১০০, ৭৬ ও গতকাল করেছেন ৭৬ বলে ৬২। সব মিলিয়ে চার ম্যাচে রান ২৭২। ১৮৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মিজানুর রহমান ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ২৫ ওভারে ১৬৬ রান যোগ করে দলকে দ্বিতীয় জয় উপহার দেন। মিজানুর ৯১ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস খেলেন ৯৪ বলে। মাসাকাদজা ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন ৭২ বলে। ফতুল্লায় ব্রাদার্স তৃতীয় জয় তুলে নেয়। খেলাঘর প্রথমে ব্যাট করে ৩৩.৪ ওভারে ১০২ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মাইকেল ভ্যানডর্ট। মোসাদ্দেক ইফতেকার করেন ২২ রান। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস নেন ১৭ রানে ৩ উইকেট এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আজহার মেহমুদ নেন ২১ রানে ১ উইকেট। ১০৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২৪.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে পেঁৗছে যায় ব্রাদার্স। ম্যাথিউস অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। ৫১ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও একটি ছক্কা। তামিম ইকবাল করেন ২১ রান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।