গ্লিটজ : ‘সংগ্রাম’ চলচ্চিত্রে আপনি কোন চরিত্রে অভিনয় করছেন ?
রুহী : ‘সংগ্রাম’ চলচ্চিত্রে আমি গ্রামের এক প্রাণোচ্ছল তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। সে ভালোবাসে করিম নামে এক যুবককে। করিম একদিন পাড়ি দেয় ইংল্যান্ডে। এর কিছুদিন পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। স্বদেশের টানে ফিরে আসে করিম।
যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় সে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মর্মন্তুদ দৃশ্য তাকে কাঁদায়। একদিন এক ব্রিটিশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুদ্ধকালীন ভয়াবহতার গল্প শোনায় করিম। তার সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া পড়ে যায়। একদিন পাকবাহিনী করিমকে ধরে নিয়ে যায়।
এ সিনেমার সংলাপে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্লিটজ : ইসমত আরা চৌধুরীর ‘মায়ানগর’-এ কাজ করছেন। এই চলচ্চিত্রে আপনার ভূমিকা কী?
রুহী : ‘মায়ানগর’ সিনেমায় রমা নামে এক মডেলের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এখানে আমি একজন জনপ্রিয় র্যাম্প মডেল। সিনেমার আরেক নায়িকা নিপুণকে আমি র্যাম্প মডেলিংয়ে প্রশিক্ষণ দিই।
প্রশিক্ষণ শেষে নিপুণ একদিন জনপ্রিয় মডেল হয়ে ওঠে। এভাবেই পাল্টে যায় নিপুণের জীবনচিত্র।
গ্লিটজ : দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতার পরিচালক মহুয়া চক্রবর্তীর দুটি সিনেমায় অভিনয় করছেন। তার সঙ্গে পরিচয়ের গল্পটি বলুন।
রুহী : ফেইসবুকের মাধ্যমে কলকাতার প্রডাকশন হাউজ বিজনেস ফিল্মের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল।
এ প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ‘স্পর্শ’ সিনেমাটি নির্মাণ করবেন মহুয়া--এমনই কথা ছিল। মহুয়ার সঙ্গে সে সূত্রেই পরিচয়। মহুয়া তার সিনেমার নায়িকা চরিত্রের জন্য আমাকে নির্বাচিত করলেন। নানা ইস্যুতে বিজনেস ফিল্মের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন মহুয়া। কিন্তু নায়িকা চরিত্রে কোনো রদবদল করলেন না তিনি।
‘স্পর্শ’ নির্মাণের সময় মহুয়া বলেন, পরবর্তী সিনেমা ‘গ্ল্যামার’-এর নায়িকাও ‘তুমি’। দুটি সিনেমায় আমার নায়ক পরমব্রত।
গ্লিটজ : ‘স্পর্শ’ ও ‘গ্ল্যামার’ সিনেমা দুটিতে কোন কোন চরিত্রে অভিনয় করেছেন?
রুহী : ‘গ্ল্যামার’ র্যাম্প দুনিয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে। এ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র জোয়ান মিশেল চরিত্রে রূপদান করব আমি। র্যাম্প মডেলের জীবনের নানা সুখ-দুঃখের গল্প নিয়ে এগিয়ে যায় গ্ল্যামার।
‘স্পর্শ’ সিনেমায় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এক অটিস্টিক শিশুর বেড়ে ওঠা ও মানবিক মূল্যবোধের গল্প নিয়ে স্পর্শ সত্যিই একটি অসাধারণ চলচ্চিত্র হবে।
গ্লিটজ : আন্তর্জাতিক মহলে অভিনয়ের ব্যাপারটিকে কীভাবে বিশ্লেষণ করছেন?
রুহী : কলকাতার সিনেমায় সুযোগ পেয়ে দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। শুটিংয়ের সময় মাথায় একটাই সুর বাজবে, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ। কলকাতার অভিনয় শিল্পীরা এ দেশের সিনেমায় সুযোগ পেলেও আমরা তেমনভাবে সুযোগ পাচ্ছি না।
কলকাতার পরিচালক, প্রযোজকদের বাঙালি অভিনেতা, অভিনেত্রীদের ব্যাপারে একটি নেতিবাচক ধারণা আছে-- আমরা অভিনয় পারি না। এবার আমাকে প্রমাণ করতে হবে, বাঙালিরা অভিনয় জানে। আমাদের অভিনয় দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
গ্লিটজ : বেশ কয়েকটি টিভি নাটকে আপনার অভিনয় দর্শকের ভালো লেগেছে। সিনেমার ব্যস্ততায় টিভি নাটকে অভিনয় করবেন তো?
রুহী : কোনো পরিকল্পনা করে টিভি নাটকে আসিনি।
ব্যাপারটা হুট করে হয়ে গেছে। ভালো চিত্রনাট্য, নির্মাতা পেয়েছি বলেই অভিনয় করেছি। ভবিষ্যতেও একই ধারা অব্যাহত থাকবে।
গ্লিটজ: আপনার মিডিয়া যাত্রা র্যাম্পের মাধ্যমে। র্যাম্প নিয়ে কী ভাবছেন?
রুহী : নাটক, সিনেমার ব্যস্ততার পরও বলব, র্যাম্পই আমার আসল জায়গা।
র্যাম্পই আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। যাই করি না কেন , র্যাম্প ছেড়ে যাব না। র্যাম্পের সিনিয়র মডেল হিসেবে দায়িত্বও অনেক। র্যাম্পে নবাগতদের জন্য ‘রুহু ২৫’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে আমার। এখানে তাদের র্যাম্পের নানা দিক নিয়ে প্রশিক্ষণ দিই।
গ্লিটজ : র্যাম্প নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারনা ঠিক স্পষ্ট নয়। ভাবেন, আলোর দুনিয়ার পিছনে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তাদের ধারণা কতটুকু সত্য?
রুহী : র্যাম্প নিয়ে নানা জনের নানা ভাবনা। কেউ বলেন, র্যাম্প দুনিয়া মানেই নানা অনিয়ম। এখানে শুধু বখে যাওয়া ছেলেমেয়েদের আনাগোনা।
এখানে অনেক নতুন মুখ আসছে। দু-একটি শোতে নাম কুড়িয়ে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে। কেমন যেন একটা অস্থিরতা! এই পরিস্থিতিতে আমি সাধারণ দর্শকের ভাবনা পাল্টে দিতে চাই। এ নিয়ে নানা পরিকল্পনা চলছে। এখনই সেটা বলতে চাই না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।