পুলিশ বলছে, যে কোনো ধরনের ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি এড়াতে তারা সতর্ক রয়েছে।
তবে সকালে ট্রাইব্যুনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের রায়ের দিনগুলোর তুলনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি কিছুটা কম।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় যুদ্ধাপরাধ মামলার সপ্তম রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১। এই প্রথম বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় হতে যাচ্ছে।
সাকা চৌধুরীকে আগের দিনই কামিশপুর কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের ৬টি রায়ে জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান ছয় নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। রায়ের দিনগুলোতে হাইকোর্ট এলাকায় সমস্ত প্রবেশ পথে পুলিশের ব্যারিকেড থাকলেও এদিন তেমনটি চোখে পড়েনি। কেবল কেবলমাত্র হাইকোর্ট সংলগ্ন দোয়েল চত্বর মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড রয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাব মোড়, বঙ্গবাজার ও সচিবালয় সংলগ্ন সড়কগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই যান চলাচল করছে।
অবশ্য আগের রায়গুলোর দিন বিচার প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে হরতাল ডাকা হলেও এবার বিএনপি নেতারা কর্যত নিশ্চুপ।
পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপ কমিশনার মারুফ হাসান তালুকদার বলছেন, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ‘যথেষ্ট’ নিরাপত্তা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রবেশ পথে দুই সারিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ। এছাড়া হাই কোর্টে যারাই প্রবেশ করছেন, তাদের জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে।
মূল ফটকের কাছে পুলিশের সাঁজোয়া যানও মোতয়েন থাকতে দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী বলেন, অন্যান্য দিনের মতোই পুলিশকে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদারে অনুরোধ করা হয়েছে।
“আমাদের সব সময়ই নিরাপত্তা চাই। তবে সেটি নিশ্চিত করবে পুলিশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।