১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে জোড়া গোল করে ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বনে গিয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী এক তরুণ। পরে আরও দুটি বিশ্বকাপ জিতে সেই তরুণই নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। এখন পর্যন্ত তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা আছে একমাত্র তাঁর ঝুলিতেই। বস্তি থেকে উঠে এসে ফুটবল বিশ্বের সম্রাট হয়ে যাওয়া—পেলের জীবনটা যেন জীবন নয়, উপন্যাসের পৃষ্ঠা। কিংবা বলা ভালো, নিখুঁত একটা চলচ্চিত্র!
সত্যি সত্যিই পেলের জীবন উঠে আসছে রুপালি পর্দায়।
তাঁর জীবনী অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন দুই আমেরিকান পরিচালক মাইকেল ও জেফ জিমবালিস্ট। এ সপ্তাহেই শুরু হয়েছে ছবির কাজ। এরই মধ্যে ছবির কলাকুশলীদের নির্বাচন করা হয়ে গেছে। ভিনসেন্ট ডি’ওনোফ্রিয়, রদ্রিগো সানটোরো, ডিয়েগো বনেতা, সিউ হোর্হে—অভিনেতাদের তালিকাটা আরও লম্বা।
১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের কোচ ভিসেন্তে ফিওলার চরিত্রে দেখা যাবে ডি’ওনোফ্রিয়কে।
পেলের বাবা ডোনডিনহোর চরিত্রে থাকবেন বনেতা। যেহেতু পেলের পুরো জীবন নিয়েই এই ছবি, এ কারণে বিভিন্ন বয়সী পেলের চরিত্রে অভিনয় করবেন ভিন্ন ভিন্ন অভিনেতা। ১৩-১৭ বছর বয়সী পেলের ভূমিকায় অভিনয় করবেন কেভিন ডি পল। ১০ বছর বয়সী পেলে হিসেবে দেখা যাবে লিওনার্দো লিমা কারভালহোকে।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণের পেছনে আছেন হলিউডের খ্যাতনামা সব কলাকুশলী।
ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফির দায়িত্বে আছেন ‘আয়রন ম্যান’, ‘ব্ল্যাক সোয়ান’-এর মতো বিখ্যাত ছবিতে কাজ করা ম্যাথু লিবাটিক। প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করবেন পমিনিক ওয়াটকিনস। কাস্টিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন মার্সেলা অল্টবার্গ, ম্যারি ভার্ন্যু ও গেইল স্টিভেনস।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত আছেন পেলে নিজেও। পল কেমসলি ও এক্সক্লুসিভ মিডিয়ার পাশাপাশি পেলেও পালন করবেন নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্ব।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকেই ব্রাজিলে শুরু হয়ে গেছে পেলের চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।