সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না....
বদরুদ্দিন উমরের -আত্মঘাতি বাঙালী!!
শুধু এটাই মনে পড়ছে রাজনীতিবিদ, আমলা, সুশীল সমাজ, আইন, বিচার, প্রশাসন, মিডিয়া, সকলের-কাজকাম দেখে!!!!
কারো কাছে কেউ দায়হীন না হলে কি এমনই হয়???
সরকারের মাসোহেবী কমন জিনিষ। ব্যক্তিত্ব, মেধা এবং আত্ম মর্যাদাহীনরা এটা যুগে যুগে করে আসছে ব্যক্তিগত লোভ, লালসা আর অর্থনৈতিক লোভে। কিন্তু সেটা যখন প্রতিযোগীতার আইটেম হয়ে পড়ে- তখন জাতি হিসেবে শংকিত হতে হয়।
একজন মন্ত্রীকে যখন ভিন্নমতের কারণে মন্ত্রনালয় ছাড়তে হয়- তা চিন্তার বৈকি!
একজন এমপিকে যখন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর হাতে নিমর্ম ভাবে দিনদুপুরে আহত হতে হয়- তখন পুরা জাতি আতংকিত হয়ে পড়ে।
একজন এমপিকে যখন ভিন্নমত লেখার কারণে কারাগারে যেতে হয়-তখন সুবচন নির্বাসনে না গিয়ে উপায় কি?
এই সব কিছূই কি একক সংখ্যাগরিষ্টার ফলে?
বিরোধী দলে যে ব্যালেন্স অব পাওযারে থাকার কথা তা থেকে ছিটকে পড়ে.. তখন সরকার প্রচন্ড রকম একমূখি হয়ে পড়ে।
রাষ্্রট বিজ্ঞানের ভাষায় এই জাতীয় সরকারের দোষ গুন পাতার পর পাতা লেখা যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- নেতিবাচক।
কর্ম, বক্তৃতা, আচরন পরিচালনা সকল ক্ষেত্রে আমজনতা নেতিবাচকতায় হাপিয়ে উঠেছে; কিন্তু নিরুপায়!!!
এইরকম অচলাবস্থা যাতে না হয় তারজন্যই রাষ্ট্রের ৩ টি মৌলিক কাঠামো ছিল ব্যালেন্স অব পাওয়ার হিসেবে।
আইন প্রণেতারা সীশা অতিক্রম করলে প্রশাসন, এবং বিচার স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সক্ষম ছিল।
কিন্তু দুঃখজনক হলো এবার সব যেন ভেঙ্গেচূড়ে একাকার হয়ে গেছে।
সুশীল সমাজ বা ব্যবসায়ী সমাজ যাওবা ক্ষমতা ধারন করে, তারাও যেন স্রেফ স্বার্থমূখীতা আর প্রতিশ্রতির আড়ালে নৈতিকতা আর বিবেককে বন্ধক রেখেছে!!!
আমজনতা এখন মূহাশূন্যে নিপতিত। তাদের কারো কাছে যাবার আর আ্শ্রয় রইল না! এইরকম অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে
আমাদের একটা জাতীয় অভিভাবক পরিষদ দরকার। ব্লগার রা কি বলেন?
যারা ব্যালেন্স অভ পাওয়ার হিসেবে থাকবে।
আইন, বিচার, প্রশাসন, সামরিক বাহিনী সুমীল সমাজ, ব্যবসায়ী সকলের মাঝে দাড়িপাল্লার মতো- নিয়ন্ত্রনের ভূমিকা পালনকারী একটা গ্রুপ দরকার।
বৃটেনে যেমন রাণী বা রাজপরিবার এ ভূমকাটা পালন করে্
আম্রিকায় তাদের ডেভেলপড সিস্টেমেই সেই নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত, আন্ডার গ্রাউন্ডে (ফ্রি ম্যাসন থাক বা অন্যকিছু যাই শুনি না কেন )
ইরানে আছে সর্বোচ্চ আধ্বাতিক নেতা এবং তার প্যানেল!!
আমাদের দেশেও সর্বদলীয়, সর্বজনকতৃক নির্বাচিত ১০১ জন বা সংসদীয় আসন অানুপাতিক হিসেবে ৩:১ এই হারে থাকতে পারে।
যারা ৩ বছর অন্তর অন্তর অভ্যন্তরীন নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্ভাচিত করবেন। এভং পুরা জাতিকে স্রেফ দেশ এবং দেশের স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে পরিচালনা করতে সহযোগীতা করবেন।
তবে বোধকরি আজকে মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠাতায়ও জাতি স্বেচ্ছাচার থেকে মুক্ত থাকতে পারবে-এবং আমজনতার একটা যাবার, বলার জায়গা থাকবে। সেই জন্যই এই পাওয়ার ব্যালেন্স বীমটা খুব দরকার!!!
আপনার সমৃদ্ধ মতামত দিয়ে ধারনাটা যৌক্তিক বা প্রয়োজনীয় কিনা প্রকাশ করুন। অসহায়, অন্ধের খুড়কুটো আকড়ে ধরার মতোই মনে হল আমাদের মুক্তির একটা পথ ভীষন দরকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।