লাশকাটা ঘরে লাশের সারি
অপেক্ষার প্রহর গুনছে লাশ-
একটি পি এম রিপোর্টের জন্য ।
ছুরি কাঁচি হাতে সার্জন
দ্রুত হাত চালায় অবহেলায় । যদিও-
ঐ একই কাজ করতে তাকে গায়ে পরতে হয় পরিস্কার এপ্রোনঃ
স্যাভলনের স্বচ্ছ পানিতে ধুয়ে নিতে হয় ছুরি কাঁচি।
তটস্থ কয়েকজন এসিস্ট্যান্ট-কোথাও যেন ভুল না হয় ।
শুধু কী দায়িত্ববোধের জন্য ? না-
আর্থিক লাভ-লোকসানের হিসেবও থাকে এতে ।
হায়! বেশ্যারাও দ্বার খুলে বসে প্রতিরাত
খদ্দরের আশায় । পোস্ট মর্টেম তাদেরও হয়।
অবশ্য ছুরি কাঁচিতে নয় এবং
কোন সার্জন থাকেনা ওখানে।
তবু পোস্ট মর্টেম হয়—দুপক্ষেরই ।
তফাৎ অবশ্য আছে দুটোর মধ্যে-
একটাতে রিপোর্ট তৈরী হয় ।
পুলিশ এসে নিয়ে যায় পরে-
মামলার কাছে লাগে । আর-অন্যটিতে লাগে না ।
সাফ-সুতরা হয়ে গেলেই ব্যস, তৈরি আবার ।
নতুন নতুন লাশ যেমন আসে রোজ রোজ
নতুন নতুন মানুষও আসে শরীর কিনতে তেমনি ।
পঁচা, গলিত লাশ কিংবা কবর থেকে তোলা লাশ
বিচিত্র ধরন, লোমহর্ষক ঘটনার বর্রনায় কাগজ ভারি।
কিন্তু সব কাঁটা-ছেঁড়া একই তফাৎ নেই কোন ।
বেশ্যালয়ের গল্প ভিন্ন হয় না।
এ এক আদিম গল্প। আদিম ব্যবসা-
নতুনত্ব নেই। তবু পুরানো হয় না।
কেউ ফেলে দেয় না এবং ছেড়ে যায় না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।