ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপরিকল্পিত ও দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করা ও শহরের বেশ কিছু খাল ও ড্রেন প্রভাবশালীরা ভরাট করে বহুতল ভবন, মার্কেট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। গত তিনদিনের বৃষ্টিতে শহরজুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে শহরবাসী। জানা গেছে, মহকুমা শহর থাকাকালে শহরে বড় বড় খাল ছিল। ভারী বর্ষণ হলেও পানি চলে যেত তিতাস নদী ও কুরুলিয়া খালে।
জেলায় উন্নীত হওয়ার পর শহরে জায়গার দাম বেড়ে যায়। আর সেই সুযোগে প্রভাবশালীরা যার যার বাড়ির সামনের খাল ভরাট করে বহুতল ভবন, মার্কেট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট নির্মাণ করে। এ ছাড়া কিছু খাল ভরাট করা হয় সরকারিভাবে। পৌরসভার উদ্যোগেও অনেক খাল ভরাট করে ড্রেনে পরিণত করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, শহরের কুমারশীল মোড়ের আমিন কমপ্লেঙ্রে সামনে থেকে লোকনাথ উদ্যানের গেট পর্যন্ত রাস্তার উত্তর পাশে বড় খাল ছিল।
গত কয়েক বছর আগে খালের পাশের বাসিন্দারা সেটি ভরাট করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শহরের ফুলবাড়িয়া মহল্লার ঠিকাদার খবির উদ্দিন জানান, ফুলবাড়িয়া নির্ঝর কিন্ডার গার্টেনের সামনে রাস্তার দক্ষিণ পাশে একটি খাল ছিল বাইপাস সড়ক পর্যন্ত। সেই খালে এখন নির্মিত হয়েছে বাড়িঘর, দোকানপাট। শিমরাইল কান্দি মহল্লার সাইফুল জানান, শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে শিমরাইল কান্দি পালপাড়া পর্যন্ত প্রশস্ত খাল ছিল। খালপাড়ের বাসিন্দারা ভরাট করায় খালটি ড্রেনে পরিণত করেছেন।
শহরের পূর্ব মেড্ডা পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ির সামনের পৌরসভার উদ্যোগে ভরাট করে খালটি ড্রেনে পরিণত করা হয়। একই অবস্থা শহরের মৌড়াইল মিশন স্কুলের সামনে থেকে কাউতলী পর্যন্ত। কাউতলী স্টেডিয়ামের দক্ষিণ দিক থেকে রাস্তার পশ্চিম পাশের বাইপাস মোড় পর্যন্ত খালটি ভরাট করে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও শহরের বেশ কয়েকটি খাল ভরাট করেছে প্রভাবশালীরা। পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, শহরের কিছু স্থানে ড্রেন ও খাল প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে।
এরই মধ্যে ওইসব ব্যক্তির নামে পৌরসভার পক্ষ থেকে নোটিস করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।