প্রথম আলোর টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি কামনাশীষ শেখরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সদস্যরা।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা ও পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দুজনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোহাম্মদ খালেদ, সাধারণ সম্পাদক শামসাদুল আকতার শামীম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ, টেলিভিশন রিপোর্টার্স ফোরাম টাঙ্গাইলের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন, টাঙ্গাইল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম ও আবু রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে আজ টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কামনাশীষের ভাতিজা সুদীপ্ত ব্যক্তিগত একটি গাড়িতে করে টাঙ্গাইল থেকে বাজিতপুর যাচ্ছিলেন। পথে সাহাপাড়া এলাকায় বিপরীতমুখী একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ির ডান পাশের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে ট্রাকচালকের সঙ্গে সুদীপ্ত ও তাঁদের গাড়িচালক মেরাজুলের কথা-কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে কামনাশীষ শেখর ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই এলাকার সন্ত্রাসী রেজা, প্রিন্স ও আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা কামনাশীষের মাথা, কাঁধ, চোয়ালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইট দিয়ে আঘাত করে এবং তাঁর মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।