হলমার্ক কেলেঙ্কারির ১১টি মামলায় চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাগুলোতে চার্জশিটভুক্ত আসামি করা হয়েছে হলমার্ক গ্রুপ ও সোনালী ব্যাংকের মোট ২৫ জনকে।
আজ সোমবার দুপুরে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক ও হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী। চার্জশিটটি রমনা থানায় জমা দেওয়া হয়। থানা থেকে পরে চার্জশিট যায় ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে।
এ ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় চার্জশিটে আসামিরা হলেন, হলমার্কের এমডি মো. তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ। গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।
সোনালী ব্যাংক হোটেল শেরাটন বা রূপসী বাংলা শাখার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি। প্রধান কার্যালয়ের জিএম অফিসের দুই জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান (দুজনই ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক ও আতিকুর রহমান (দুজনই ওএসডি), দুই উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ (সাময়িক বরখাস্ত), দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদ। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ৭ জন কারাগারে আটক রয়েছেন।
জামিনে আছেন হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম। বাকিরা পলাতক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।