যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়। খান মার্কেটের কোণা দিয়ে উঁকি দিল তোমার মুখ দিল্লীতে তখন শেষ বিকেলের হানা এক অদ্ভুত বিবশ করা আলোয় উজ্জ্বল তোমার মুখ কাঁচা সোনা গলিয়ে মাখিয়ে দিয়েছে কেউ রঙ এর হোলি যেন এক অনন্য উৎসব, অজানা শিহরণ প্রাজ্ঞ বৃক্ষের পাতা বেয়ে নেমে আসছে সরসর, হিসহিস কন্যাসুন্দর আলো আমি শিখলাম কিভাবে যুগেযুগে পুড়ে গেছে প্রেমিকের চোখ ঘণ বর্ষা শেষে কদম গাছের নীচে বৃষ্টির বিশ্রাম সবেমাত্র করতালি থেমেছে পথের আর উন্মুখ ছাদগুলোর চুইয়ে পড়া ফোঁটায় পুরো মহাবিশ্ব না-শোনা শব্দের রিনরিন কাঁচের চুড়ি আর একটা সম্পূর্ণ নীল আকাশ ঘুমিয়ে আছে তোমার বেগুনী টপ্স এ আর আমি শিখলাম কিভাবে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয় বিনা বাক্যব্যয় এ, চোখের পলক না ফেলে সম্পূর্ণ স্থির, অমানুষিক স্থির কেবল তুমি কেবল তুমি পুরো শহরটা বেহাত হয়ে গেল নিমিষেই! অবারিত ধানক্ষেত বুনোমোষের মত গোঁয়ার একটানা পথ জ্বরে কাঁপছি আর কুয়াশা ধেয়ে আসছে যেন অলস সমুদ্র আড়োমোড়া ভেঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের ভিজিয়ে দেবার তুমি নির্বিকার, ধানের সাথে তোমার দুশো বছরের কথা জমে আছে আল ধরে নেমে যাচ্ছো মাঠে, এত অবলীলায় যেন তিন পুরুষ ধরে জমিনেই তোমার ঘর আর আমি শিখলাম তোমাকে ছাড়া আমি কত অসহায় জ্বরকে ছাপিয়ে আমি তোমার পিছুপিছু ততক্ষণে তুমি উড়ছ আকাশে, কুয়াশায় কিংবা সমুদ্রে তোমার ডাক শুনে পিছু ফিরতেই ম্যাজিক! পুবের আকাশে দু দুটো রংধনু মহাজাগতিক ইশারায় আমার পথ তোমার দিকে যাবার সম্মোহিতের মত আমি ছুটে চলেছি তুমি নতুন করে হাসছো তুমি কি জানো তুমি কিভাবে হাসছো তুমি কি জানো সন্ধ্যার ঐ নীল গাছের নীচে তোমার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই যতই বৃষ্টি আসুক, যতই জোরালো হোক বানের টান যতই শুষ্ক হোক মাটি যতই ঢেকে যাক সুর্য্য বালিতে আর ধুলোয় তোমার কন্যাসুন্দর মুখটুকু দুহাতে আঁজলা ভরে না নেয়া পর্যন্ত সন্ধ্যার ঐ নীল গাছের নীচে তোমার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।