লড়াই করে জিততে চাই
একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ৯টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরেও আলীম রাজাকারের ফাঁসি না দিয়ে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত!অভিযোগ প্রমাণিত হলেও গো-আযমকে সর্বোচ্চ সাজা না দিয়ে জেল দেয়া হয়েছে! আজ আবার আলীম রাজাকারকেও দেয়া হলো কারাদন্ড!
গো-আযমরে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রীয় টাকায় বেহেস্তি খানা-দানা ও চিকিতসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলীম রাজাকারেরও ভাগ্য খুলে গেলো। তবে যাদের মুত্যুদন্ডের রায় ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে তাদের রায় কার্যকরের বিষয়টি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। আওয়ামী লীগ যদি সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকে যে, তারা রাজাকারদের ফাঁসি দিবে না। বরং ফাঁসির রায়কে পাবলিকের সামনে হাজির করে ভোট প্রার্থণা করবে।
পাবলিকরে বুঝাবে যে, নৌকায় ভোট দাও, না হলে রাজাকাররা সব ছাড়া পেয়ে যাবে। আর সেই ভয়ে পাবলিক সব লাইন দিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়বে নৌকায় ভোট দিতে!!... তাইলে নৌকাডুবি ঠেকানোর আর কোন পথ আছে বলে মনে হয় না!রাজাকারদের ফাঁসিতে না ঝুলাইয়া, ভোটারদের সামনে মুলা ঝুলানো নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো ভুল হবে তাতে কোনই সন্দেহ নেই।
রাজাকারদের জেলখানায় যেভাবে জামাইআদর করা হচ্ছে, তাতে মাস কয়েক জেলখানায় তারা বেশ মৌজেই থাকবে! তারপর ক্ষমতার পালাবদল হলে ফুলের মালা নিয়ে পতাকা লাগানো গাড়িতে উঠেই জেলখানা থেকে ঘরে ফিরতে পারবে।
আর যদি হাসিনা সরকার সত্যি সত্যি একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় ফিরে যায়। তাহলে জেলখানায় রাজাকারদের জামাইআদরের সময় আরো কিছু দিন বেড়ে যাবে মাত্র।
কারণ স্বৈরশাসন বাংলাদেশে খুব বেশি দিন টেকে না। আর বর্তমান জামানায় একদলীয় স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখা আরো কঠিন।
তবে খুব শিগ্গিরই ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাবে! মুলা ঝুলছে , না ফাঁসির দড়ি-জনগণ দেখতে পাবে দুই মাসের মধ্যেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।