কোরবানির পশুবাহী ট্রাক আটকে পথে পথে চলছে 'চাঁদাবাজি'। সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজির ৩২টি পয়েন্টের কথা বলা হয়েছে। তাজ্জব করার মতো তথ্য হলো_ এই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। তাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক এবং স্থানীয় রাজনৈতিক মস্তানচক্র সংঘবদ্ধভাবে ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করছে। রাজধানীর বৃহত্তম পশুর হাট গাবতলীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গরুর বেপারি এবং ট্রাকচালকরা জানিয়েছেন, ঢাকায় আসতে তাদের একের পর এক চাঁদার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। চাঁদাবাজি হলেও এ বছর গরুর আমদানি অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় দাম তুলনামূলক কম থাকবে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা। তাদের আশঙ্কা, একদিকে চাঁদাবাজি অন্যদিকে গরুর দাম পড়ে যাওয়ায় অনেকের পক্ষে পুঁজির আসল টাকা ফেরত নেওয়া সম্ভব হবে না। প্রতি বছর ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজির কারণে এ ব্যবসায় শুরু হয় অস্থিরতা। বেড়ে যায় পশুর দাম। ক্ষতিগ্রস্ত হন ক্রেতারা। চাঁদাবাজি বন্ধের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর বর্তায়। কিন্তু তাদের একাংশের যোগসাজশে ঢাকায় পশু আনার রুটে পদে পদে চাঁদাবাজি চলায় তা রোখার কেউ নেই। শুধু ঈদ মৌসুমে নয়, পরিবহন চাঁদাবাজি জনজীবনের জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনছে নানাভাবে। চাঁদাবাজির কারণে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় মূল্যবৃদ্ধি বিরূপ প্রভাব রাখছে। এ দুর্বৃত্তপনায় যারা জড়িত তাদের দমন করতে জনগণের ট্যাঙ্রে টাকায় যাদের পোষা হয়, তারা চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষ অসহায় অবস্থার মুখে পড়ছে। আমরা মনে করি, কোরবানির পশুর দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা বা পশু ব্যবসায়ীদের স্বার্থে নয়, সার্বিক জনস্বার্থে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পরিবহন চাঁদাবাজির সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের সামাল দেওয়া সরকার তথা প্রশাসনের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।