বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-১৯) থেকে তেমন কিছু পাওয়া না গেলেও কপ-২০ ও ২১ থেকে অনেক কিছুই অর্জন হবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে তারা বলছেন, এবারের কপে বিভিন্ন বিষয়ে দরকষাকষি হলেও তহবিল না আসলে কোনো উন্নয়ন কাজই হবে না। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত কপ-১৯ পরবর্তী এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ জলিল। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জলবায়ু নেগোসিয়েশন দলের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. নূরুল কাদির, উন্নয়ন পরিষদের ড. নিলুফার বানু, এম এস সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের মহাসচিব ড. আবদুল মতিন প্রমুখ।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, এবারের কপে বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। কপের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে এবার গুরুত্ব পেয়েছে বনায়নের বিষয়টি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন কারণে বৃক্ষনিধন করা হচ্ছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মারাত্দকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই নিজেদের স্বার্থে পরিবেশকে বাঁচাতে বৃক্ষনিধন বন্ধ করতে হবে। খলীকুজ্জমান আরও বলেন, পরিবেশের বিষয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই। তারা একসঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশের জন্য কাজ করছেন। এটা খুবই ইতিবাচক দিক। অন্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশি টাকায় সারা বিশ্বের জন্য ৭০০ কোটি টাকার তহবিল করার কথা বলা হলেও এটা খুবই ক্ষুদ্র। এ অর্থ দিয়ে বিশ্বের জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর উন্নয়ন খুব একটা হবে না। তারপরও এই অর্থ ছাড়া করছে না ধনী দেশগুলো।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।