ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রহমানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ৮ এপ্রিল ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে হবে। একটি ইংরেজি দৈনিকে 'গার্ল গোজ থ্রু হরিফিক অ্যাবিউজ' শিরোনামে গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এ রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অবন্তি নুরুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় মৌলভী মুজাহিদুল ইসলাম জাফর ও বকশী এস এম দাসুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক অসীম মিস্ত্রিকেও ৮ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুই তরুণীকে নির্যাতন, তাদের মধ্যে একজনকে ধর্ষণ এবং শিশু বিয়েতে বাধ্য করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারী উপপরিদর্শক আবদুর রহমান, মৌলভী মুজাহিদুল ইসলাম জাফর ও বকশী এস এম দাসুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক অসীম মিস্ত্রিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে স্থানীয় এক মসজিদের আরবি শিক্ষক আবদুস সালাম মিয়া ১৩ বছরের এক বালিকাকে যৌন হয়রানি করেন। এ জন্য তিনি চাকরিচ্যুত হন। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আবদুস সালামের ছেলে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম জাফর সমবয়সী এক কিশোরের সঙ্গে মেলায় যাওয়ার 'অপরাধে' ওই কিশোরীকে পুলিশে তুলে দেন। এরপর এএসআই আবদুর রহমান ওই দুই কিশোর-কিশোরীকে বিবস্ত্র হয়ে যৌন অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করেন এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন। পরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই আবদুর রহমান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।