পিয়াজ অবশেষে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখিয়েছে। মাত্র দুই-তিন দিনের ব্যবধানে এ সবজির দাম ৭৫ থেকে ১০০ টাকা অতিক্রম করেছে। ঈদুল আজহা বা কোরবানির আগে পিয়াজের মূল্যবৃদ্ধি লাখ লাখ মানুষের পকেট কর্তনে অবদান রাখছে। কোরবানির সময় মাংস রান্নায় পিয়াজের ব্যবহার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। মাত্র দুই-তিন দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের এ খাতে কয়েক কোটি টাকা বাড়তি খরচের সম্মুখীন হতে হবে।
চলতি বছর দেশে পিয়াজের উৎপাদন ছিল সন্তোষজনক। তারপরও পিয়াজের দাম যে ক্ষেত্রে অতীতে অর্ধসেঞ্চুরি অতিক্রমের কৃতিত্ব খুব কম দেখিয়েছে সে ক্ষেত্রে হঠাৎ সেঞ্চুরি করার কারণ কী? এর পেছনে প্রতিবেশী ভারতে পিয়াজ উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার ঘটনা মূলত দায়ী। বাংলাদেশে প্রতি বছর ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পিয়াজ আমদানি হয়। অন্য বছরের চেয়ে এ বছর দেশে পিয়াজ উৎপাদন তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট ছিল না। কিন্তু ভারতে পিয়াজ উৎপাদনে মার খাওয়ায় এবং সে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শুরু হয় সমূহ সংকট। চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত পিয়াজ আমদানি দায় হয়ে পড়েছে। পিয়াজ এমনই একটি পণ্য যা জাহাজে করে আনা বেশ জটিল। কোরবানির আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে স্বভাবতই অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজের গরিব মানুষের জন্য ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। পিয়াজ সংকটের আশু সমাধানের কোনো উপায় আছে বলেও আমাদের জানা নেই। চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সময়মতো পিয়াজ আমদানি না করার খেসারত দিতে হচ্ছে এখন সাধারণ মানুষকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা বলেছিলেন তারা পিয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করছেন এবং দেশে কোনো সংকট সৃষ্টি হবে না। কিন্তু তারা তাদের কথা রাখতে পারেননি। দুর্ভাগ্য সম্ভবত একেই বলে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।