আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পলাশীর মত প্রহসন তখনই সম্ভব যদি নিজেদের লোক হয় বিশ্বাসঘাতক!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

মওদুদ আহমদের অসুস্থ্যতাঃ নতুন নাটকের ইঙ্গিত নয়তো?...জানা গেছে, ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তার টেলিফোন পেয়ে হাসিনার সরকার বেগম জিয়ার সিঙ্গাপুর ভ্রমণের ব্যাপারে প্রথম নিশ্চিত হন। সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ : আওয়ামীলীগ একের পর এক নাটক আর চমক দেখাতে অভ্য¯ত্ম। বেগম জিয়ার সিঙ্গাপুর মিশন যখন সাকসেসফুল-এমন সংবাদের নাটকীয়তায় সরকারও নড়ে চড়ে বসে। রাজনীতিতে বহু ঘটন-পটন পটীয়সী, সকল সরকারের ফায়দা ভোগকারী, বহুরূপী অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান মওদুদ আহমদকে নিয়ে সরকার টানা-হ্যাচড়া শুরু করে দিয়েছে। বলা যায়, মওদুদ আহমদ এখন সরকারের ক্রীড়নকে পরিণত হতে চলেছেন।

এবারকার অসুস্থতা যদিও কিছুটা বাস্তব হলেও মূলত সরকারি নীল-নক্সা অনুযায়ী তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হন। জানা গেছে, ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তার টেলিফোন পেয়ে হাসিনার সরকার বেগম জিয়ার সিঙ্গাপুর ভ্রমণের ব্যাপারে প্রথম নিশ্চিত হন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। হাসিনা যখন বেগম জিয়ার মিশন সম্পর্কে ভারতীয় দূতাবাসের ঐ কর্মকর্তার মাধ্যমে অবগত হন, তখন বেগম জিয়ার প্লেন ঢাকার মাটি ত্যাগ করে ফেলেছে। হাসিনা তখনি বিকল্প ট্র্যাপ হিসেবে (যা আগে থেকেই একক নির্বাচনের ছক থেকেই গোপন শলা-পরামর্শ চলছিলো) মওদুদের দিকে হাত বাড়ান।

তারই অংশ হিসেবে এর মধ্যে মওদুদের বিরুদ্ধে দুদুক, ডিবি, আর পাসপোর্ট সংক্রাšত্ম নথি তলব করে পেছনে লাগিয়ে দেয়া হয়। মওদুদ উপায়ান্তর না দেখে অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হলে হাসিনা প্রথমে পিছু হটেন। ইতিমধ্যে বেগম জিয়ার সিঙ্গাপুর মিশনের খবর সরকারের উপর মহলে পৌঁছে গেলে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়। দুদুকের নথি এখন মওদুদের বিরুদ্ধে সরব। যেকোন মুহূর্তে মামলা।

বহির্গমন ও ইমিগ্রেশন(পাসপোর্ট অনুবিভাগও) এগিয়ে। সরকারের সিগন্যাল পেলেই মামলা। সব কিছু নির্ভর করছে মওদুদের সম্মতির উপর। তবে তলে তলে তিনি নিজেই এপথে এগিয়েছেন বলে তাকে যারা চেনেন, সরকারি ও বিরোধীদলের নেতাদের অভিমত। সরকারের বার্তা নিয়ে ইতিমধ্যে মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মওদুদের সাথে একান্তে আলোচনাও করেছেন।

মওদুদ এখনো দ্বিধান্বিত, দ্বিধা-দ্বন্ধ থাকায় তিনি আরেকটু সময় নিতে চাইলে, বেগম জিয়ার সিঙ্গাপুর মিশনে সরকার মওদুদকে সময় দিতে নারাজ। সরকারের এমন হার্ড লাইনে মওদুদ আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। সরকারের নীতি-নির্ধারক একজন সচিব নিশ্চিত করেছেন, মওদুদ ইস্যুতে বেগম জিয়ার সিঙ্গাপুর চাল ভেস্তে যাবে। আর রাজনীতির রঙ্গ-মঞ্চে মওদুদ ইতিমধ্যে অনেক ডিগবাজী দিয়েছেন। তিনিও সেয়ানা খেলোয়াড়-জানেন কখন কোন চাল খেলতে হয়।

মওদুদের তৃণমূল বিএনপি আস্তে আস্তে বীজ রোপিত হচ্ছে, এমন সিগন্যাল সরকারের আরেক শরিক এরশাদের কাছে হাসিনার দূত মারফত পৌঁছে গেছে। এ সংবাদে এরশাদ এখন বেশ চাঙ্গা ভেতরে ভেতরে। হাসিনা এরশাদকে ম্যাসেজ দিয়েছেন, বিকল্পের বিকল্প জোট লন্ডনের বিএনপি নীতি-নির্ধারনী নেতার কারণেই বি চৌধুরী, ডঃ কামাল বিএনপির কাছে বিশ্বস্ততায় আস্থাহীন অবস্থায় আছেন। আর হাসিনার সমর্থন ব্যতিরেকে বি চৌধুরী ও ডঃ কামালের পক্ষে নির্বাচনে জিতে আসা সম্ভব নয়। হাসিনা আরো ভালো করেই জানেন বি চৌধুরী ও কামাল হোসেনকে সময় মতোই মোক্ষম সময়ে হ্যান্ডেল করার মতো যথেষ্ট তথ্য হাসিনার হাতে রয়ে গেছে, যা সময়ে কাজে লাগানো হবে।

আ স ম রব, মান্না, কাদের সিদ্দিকী জীবন থাকতে কখনো স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে হাত মেলাবেনা-হাসিনা নিশ্চিত। নির্বাচনে এই তিন নেতা জিতে আসলেও হাসিনার জন্য বিপদের কারণ হবেননা- এমন ম্যাসেজ এরশাদ পাওয়ার পর হাসিনার আশীর্বাদে ইসলামী জোট গঠনে এখন বেশ সক্রিয়। এদিকে মওদুদের ঘনিষ্ঠদের কাছে এ সংবাদ পৌঁছে গেছে, তৃণমূল বিএনপি এখন সময়ের ব্যপারমাত্র। যেমন বিএনএফ নামক নয়া সংগঠন- সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে বিএনএফ নাম পরিবর্তন হয়ে মওদুদের নেতৃত্বে তৃণমূল বিএনপি হয়ে নিবন্ধিত হয়ে যাবে সকলের অগোচরে। তখনি প্রকাশিত হবে মওদুদের অসুস্থতার হাসপাতাল নাটক আর আওয়ামীলীগের নতুন আরেক চমক।

Click This Link ******************* Behind enemy line যার সাথে আমরা কম-বেশী পরিচিত। এর মাধ্যমেই ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুনের আগে বৃটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ও মীর জাফরের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল যে সেদিন পলাশীর যুদ্ধের ময়দানে ঠিক কি ফলাফল হবে। মাত্র ৩ হাজার সৈন্য নিয়ে ইংরেজরা নবাব সিরাজের ৫০ হাজার সৈন্যের বাহিনীকে আক্রমণ করবে কোন বুদ্ধিমান, চতুর মানুষ এটার আয়োজনই করবে না বরং শত্রুকে এড়িয়ে যাবে অথবা আপোষ করবে। কিন্তু চতুর রবার্ট ক্লাইভ সব জেনে শুনেই মাত্র ৩ হাজার বাহিনী নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলল। এই ধরণের বেঈমান ধোকাবাজ এখনও আছে তার প্রমাণ এই মওদুদ আহমেদ।

স্পাই বা গুপত্চর জগতের ডীপ কাভার এজেন্টের মত এমন ভাবে তাকে বিএনপিতে সেট করা হয়েছিল যাতে বিশেষ কিছু ব্যাক্তি ছাড়া কোন মানুষের মনে সন্দেহ যেন না জাগে। ১৯৯৬ সালের জুন মাসের নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হলে মওদুদ খালেদার বিএনপিতে যোগ দেয়। অনেকে বলেছিল সে হয়ত আওয়ামীলীগে যোগ দিবে। কিন্তু তা না করে দেয় বিএনপিতে। তাই সদ্য ক্ষমতা হারানো কোন দলে সৎ, সাহসীরাই যোগ দেয় এমনই সবাই ভেবেছিল।

কিন্তু যখন ২০০১ সালে খালেদার বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় আসলে সে মুজিব হত্যা মামলা হাইকোর্টে ঝুলিয়ে রাখল তখনই খটকা বাধে। এরপর মুজিবকে সংসদে জাতির পিতা সংবোধন করে তখন আমার সন্দেহটা আরো জোরাল হয়। এরপর ২০০৫ সালে বিচারপতি খায়রুল হক কতৃক ৫ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হলেও তাকে বিএনপির ঐ আমলে পরবর্তীতে আপিল ও রিভিউ বিভাগে না নিয়ে যেতে পারা এবং জেনারেল মঈন ইউকে সেনা প্রধান হতে সহায়তা করার বিষয়টি ১/১১র পরে নিশ্চিত হই। মঈনের জায়গায় অন্য কেউ সৎ হলে ঠিকই ২২শে জানুয়ারী ২০০৭এর নির্বাচন হতে দিত। এটাই ছিল তখনকার সংবিধান।

কিন্তু মওদুদ ও মঈন দুই জনেই ভারতের চামচা তাই ১/১১ ঘটিয়ে ২০০৮এ সাজানো নির্বাচনে হাসিনার আলীগকে ব্যাপক বিজয় দেওয়া হয়। বিগত ২০০৯ হতে আজ পর্যন্ত বিএনপির পক্ষে জোরাল সরকার বিরোধী আন্দোলন সম্ভব হয় নাই মওদুদ সহ দলে ঘাপটি মেরে থাকা আলীগ ও ভারতীয় এজেন্টদের জন্য। আর সেই সাথে ভারত এখন মার্কিন ও ইউরোপীয়দেরকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই মঈন ইউ তখন ২০০৭এ ইয়াজউদ্দিনকে প্রধান উপদেষ্টার পদ হতে হটিয়ে দিলেও এখন কোন সেনা প্রধানের পক্ষে হাসিনার অধীনে নির্বাচন রুখা সম্ভব হবে না অথবা রুখতেও চাইবে না। হাসিনার প্রতি ভারতের মদদের কারণে ডঃ ইউনুসও নাজেহাল হয়েছেন।

বিএনপির পক্ষে হাসিনার একদলীয় নির্বাচন রুখার আন্দোলন কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু না। কিন্তু দলের শীর্ষ পর্যায়ে গাদ্দার থাকলে নেতা-কর্মীদেরকে সংগঠিত করা যাবে না। ইতিমধ্যে শিবিরের একক প্রচেষ্টায় আলীগ কাইত এমনকি অসহায়। এই অবস্থায় বিএনপির লক্ষ লক্ষ কর্মী রাজপথ ও মাঠে নামলে আলীগকে মাঠে খুজে পাওয়া যাবে না। তখন হাসিনার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগ দেওয়া ছাড়া ভিন্ন কোন পথ থাকবে না।

বিএনপি শক্ত ভাবে মাঠে নামলে হাসিনার অধীনে নীল নক্সার নির্বাচন ভন্ডুল হতে বাধ্য ইনশাল্লাহ! কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই পলাশীর কথাই মনে পড়ে যে শক্তি জনবল থাকা সত্ত্বেও ঘরের শত্রু বিভীষণের মতই আলীগকে ওয়াকওভার দিয়ে দেওয়া হবে। ছোট্ট দেশ শ্রীলংকা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে ভারতীয় আধিপত্য রুখছে আর আমরা ১৬ কোটি মানুষের দেশ এই রকম দেশপ্রেমিক কিছু করতে পারব না এটা আমাদের ইতিহাসের জন্য একটি দুঃখজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.