আগামীকাল বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবারের ন্যায় আবারও আমাদের মাঝে এসেছে উৎসর্গের আনন্দ নিয়ে ঈদুল আজহা। অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে উদযাপিত হবে দিনটি। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেবেন মুসলমানরা। দিনটি উদযাপনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সবাই।
ঈদুল আজহা সাধারণভাবে কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত। প্রিয় নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সুন্নাত ও ইসলাম ধর্মের ওয়াজিব বিধান পালন করতে চতুষ্পদী পশু বা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ও উট কোরবানি দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে সামর্থ্যবানরা নিজ নিজ সাধ্যমতো পশু ক্রয় করছেন। কাল ঈদের নামাজ থেকে ফিরে বাড়ির আঙিনায় বা খোলা চত্বরে পশু কোরবানি সম্পন্ন করবেন। ধর্মের রীতি অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যে কোনো দিন পশু কোরবানি করা যায়।
তবে রাসূলুল্লাহ (সা.) ১০ জিলহজ পবিত্র ঈদুল আজহার দিন কোরবানি করাকেই উত্তম ঘোষণা করেছেন।
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াসহ দেশের সব বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা শহর এবং প্রতিটি গ্রাম ও মহল্লায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে।
আরবি ঈদুল আজহা শব্দের অর্থ উৎসর্গের আনন্দ।
পবিত্র কোরআনে হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজ পুত্র ঈসমাইল (আ.)-কে কীভাবে নিবেদন বা উৎসর্গ বা জবেহ করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তার বর্ণনা রয়েছে। সেসময় আল্লাহ তা'লা ইব্রাহিম (আ.)-এর ইমানি দৃঢ়তায় সন্তুষ্ট হয়ে ফেরেশতা পাঠিয়ে ছুরির নিচ থেকে অলৌকিকভাবে ঈসমাইল (আ.)-কে হেফাজত করলেন। তার বিনিময়ে উৎসর্গকৃত হলো একটি বেহেস্তি দুম্বা। মহান আল্লাহ ইব্রাহিম (আ.)-এর এই আত্দত্যাগের মানসিকতাকে কবুল করেন এবং তার অপার মহিমায় ঈসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানির নজির প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। সেই থেকে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা ধর্মের বিধান হিসেবে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে পশু কোরবানি করে থাকেন।
সেই উৎসর্গের মহান শিক্ষাকেই প্রতি বছর ঈদুল আজহায় মুসলমানরা উদযাপন করেন এই গরু, ছাগল, দুম্বা ও উট কোরবানির মাধ্যমে। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, 'সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এই কোরবানি কী? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমাদের পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সুন্নাত। সাহাবিগণ আবার জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এতে আমাদের জন্য কী সওয়াব রয়েছে? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তার প্রতিটি পশমের জন্য একটি করে সওয়াব পাওয়া যাবে'। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নাত হিসেবে কোরবানির গোস্তের তিন ভাগের এক ভাগ গরিবের হক ও একভাগ আত্দীয়ের হক হিসেবে তা বণ্টন করে দেওয়া হয়।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা. অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ জাতীয় রাজনীতিবিদরা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও এ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় ও ঈদ মোবারক খচিত পতাকা দিয়ে সুশোভিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির বাণী : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা মহান আল্লাহর প্রতি অপরিসীম আনুগত্যের অনুপম নিদর্শন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) প্রাণপ্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে আল্লাহর প্রতি যে আনুগত্য ও ভক্তি প্রদর্শন করেছেন তা অতুলনীয়।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে পারলে মুসলিম জাতির ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও সুসংহত হবে।
জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঈদ উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসুন, আমরা সবাই পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন এক সুখী-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। তিনি বলেন, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানরা কোরবানিকৃত পশুর গোশত আত্দীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে প্রকারান্তরে সবার মধ্যে সমতা প্রতিবিধান এবং সহমর্মিতা অনুশীলন করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিয়বস্তুকে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর জন্য চিরকালই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান খালেদা জিয়ার : দেশবাসীসহ সারাবিশ্বের মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে গতকাল এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
তিনি স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার কোরবানির শিক্ষাকে ধারণ করে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের বিত্তবান ও সামর্থ্যবানদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থায় সব মানুষের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে না। সবাইকে ঈদের আনন্দকে একসঙ্গে ভাগ করে নিতে সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊধর্্বগতি দরিদ্র ও কম আয়ের মানুষকে চরম দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পানি, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের তীব্র সংকট জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
ঈদের জামাত : রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশন এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের ছয়টি জামাত। প্রথম জামায়াত সকাল ৭টায়। এরপর প্রতি এক ঘণ্টা পরপর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বায়তুল মোকাররমে সর্বশেষ জামাত সকাল অনুষ্ঠিত হবে ১১টায়। এ ছাড়া ঢাকার মিরপুরের ফুরফুরা দরবার মসজিদ, মোহাম্মদপুর বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ সাড়ে ৭টায়, মোহাম্মদপুর কৃষি বাজার তাহেরিয়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে সকাল পৌনে ৮টায়, ফার্মগেটের বায়তুশ শরফে সকাল ৮টায়, নীলক্ষেতের মরিয়ম বিবি শাহী মসজিদে প্রথম জামায়াত সকাল ৮টা এবং দ্বিতীয় জামায়াত সকাল ১০টায়, নয়াপল্টন জামে মসজিদ, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সায়েদাবাদের চিশতিয়া সাইদিয়া দরবার শরিফ জামে মসজিদ, গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন লি. খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়, মতিঝিলের আরামবাগের দেওয়ানবাগ শরিফে প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, দ্বিতীয় জামায়াত সকাল সাড়ে ৯টায় এবং তৃতীয় জামায়াত সকাল ১০টায়, মতিঝিলের মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটে সকাল ৮টায়, খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রথম জামায়াত সকাল সাড়ে ৭টায় এবং দ্বিতীয় জামায়াত সকাল সাড়ে ৮টায়, খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সকাল ৮টা, খিলক্ষেতের কুর্মিটোলা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ঈদগাহে প্রথম জামায়াত সকাল সাড়ে ৭টায় ও দ্বিতীয় জামায়াত সকাল সোয়া ৮টায়, নারিন্দার মশুরীখোলা দরবার শরিফে সকাল সাড়ে ৮টায়, মিরপুর 'এ' ব্লকের হারুন মোল্লাহ ঈদগাহে সকাল ৮টায়, গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠে সকাল পৌনে ৮টায়, সায়েদাবাদ আরজুশাহ দরবার শরিফ বড় জামে মসজিদে প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, দ্বিতীয় জামায়াত সাড়ে ৮টায় এবং সকাল ৯টায় তৃতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। হাজারিবাগ শাহ মস্তান জামে মসজিদে পৌনে ৮টায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সোয়া ৭টা এবং নাজির বাজার জমঈয়তে আহলে হাদিস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনার ঈদের জামাত : খুলনা থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, খুলনায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় সার্কিট হাউস ময়দানে। সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে খুলনা টাউন জামে মসজিদে।
তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে প্রধান জামাত খুলনা টাউন জামে মসজিদে হবে। সকাল ১০টায় টাউন জামে মসজিদে শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বসুপাড়া ঈদগাহ, খালিশপুর ঈদগাহ এবং লায়ন্স স্কুল ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে পৃথকভাবে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠানের জন্য সার্কিট হাউসের মাঠ সজ্জিতকরণসহ সব ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিসুর রহমান বিশ্বাস গতকাল দুপুরে মাঠের কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খুলনার সব চেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের জন্য সার্কিট হাউস মাঠকে তৈরি করা হয়েছে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ আজকের মধ্যে শেষ হবে।
সিলেটে ঈদের জামাত : সিলেট থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সিলেটে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহে। এতে ইমামতি করবেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল করিম বিন মোশাহিদ।
এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) জামে মসজিদে, সকাল ৮টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জামেয়া মদীনাতুল উলুম দারুস সালাম খাসদবীর মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়, দক্ষিণ সুরমার সিলাম চকেরবাজার শাহী ঈদগাহে ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় এবং ভার্থখলা ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশালে ঈদের জামাত : বরিশাল থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বরিশালে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় হেমায়েতউদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। বরিশালের ঈদের সর্ব বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরিফ মাঠে সকাল ৯টায়। এখানে অন্তত ২৫ হাজার মুসলি্ল ঈদ জামাত আদায় করবেন। ঈদের দ্বিতীয় বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে পিরোজপুরের নেছারাবাদের ছারছিনা দরবার শরিফে সকাল ৮টায় এবং তৃতীয় বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেঙ্ েসকাল ৮টায়।
এছাড়া ঝালকাঠির নেছারাবাদ কায়েদ সাহেব হুজুরের দরবার শরিফে সকাল ৮টায় এবং পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জের মরহুম ইয়ারউদ্দিন খলিফার দরবার মাঠে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশাল নগরীতে দুটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জামে এবায়েদুল্লাহ জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ও সাড়ে ৯টায়, জামে কসাই মসজিদে ঈদ জামাত সকাল পেঁৗনে ৮টায় ও পেঁৗনে ৯টায়, বায়তুল মোকারম জামে মসজিদে ঈদ জামাত সকাল ৮টায় ও ৯টায়, পুলিশ লাইনস জামে মসজিদ সকাল ৮টায় ও সকাল ৯টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নগরীর নূরিয়া স্কুল মাঠে সকাল ৮টায়, মেডিকেল কলেজ জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, জেল গেট মসজিদে সকাল ৮টায়, পাওয়ার হাউস জামে মসজিদ সকাল ৮টায়, ল' কলেজ জামে মসজিদ সকাল ৮টায়, পোর্ট রোড জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, ফকিরবাড়ি জামে মসজিদ সকাল সাড়ে ৮টায়সহ নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড এবং জেলার ১০ উপজেলায় বড়-ছোট কয়েকশ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।