আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন এই সংশোধনী?

গণপ্রতিনিধি অধ্যাদেশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য অন্তত তিন বছর সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলেই সেই দলের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। কালো টাকার মালিকদের সংসদে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগও সৃষ্টি করবে গণপ্রতিনিধি অধ্যাদেশের এই সংশোধনী। তারা টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনার সুযোগ পাবেন এবং জনপ্রিয় দলের প্রার্থী হওয়ার সুবাদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে কালো টাকার মালিক ও বসন্তের কোকিলদের বদলে সত্যিকারের নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিকদের সংসদে যাওয়ার পথ সুগম করতে জনপ্রতিনিধি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ২০০৯ সালে আইনটি সংসদে অনুমোদন হয়। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলে ভাঙন, নেতাদের দলবদল ও রাজনীতিতে কালো টাকার দৌরাত্দ্য বন্ধে এ আইনটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হয়েছিল। গণপ্রতিনিধি অধ্যাদেশের সংশোধনী সংসদে গৃহীত হওয়ায় সংসদ রাজনীতিকদের বদলে ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত হবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের থাবা আরও বিস্তৃত হবে। সংশোধনীতে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলের তহবিলে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক অনুদানের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানো এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে শাস্তিপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার প্রস্তাব যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত। কিন্তু রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েই প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাজনীতিকে আরও কলুষিত করবে। সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের বদলে কালো টাকার মালিকদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে। রাজনীতিতে নীতিবোধের যে অবশিষ্ট এখনো রয়েছে তা হয়তো লোপ পাবে। যা কোনোভাবেই বাঞ্ছনীয় নয়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.