জীবন মানে স্বপ্ন দেখা , সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা , এভাবেই স্বপ্ন গুলো খেলা করে জীবন নামের খেলা ঘরে।
বিকেলের আলোতে মেয়েটিকে অসাধারন লাগছে , মনে হয় কাচা হলুদ মেখেছে । তাকিয়ে থাকি মাঝে মাঝে , অন্যরকম একটা অনুভুতি এই তাকিয়ে থাকার মধ্যে । মাঝে মাঝে চোখাচোখি হয় , কেমন যেন অদ্ভুত একটা হাসি মুখে ফুটে উঠে , হাসির সাথে সাথে আরো একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম যা খুব সহজে আমাকে পাগল করে , এই ভালো লাগাটা ভাসায় প্রকাশ করার মত না । এত সুন্দর করে টোল পড়ে ইচ্ছে করে সারা জীবন এই হাসি টাকে একান্ত আপন করে নিই , কিন্তু মনে হয় এই হাসি টা হয়ত আমার জন্য না ।
আড্ডা দিচ্ছিলাম হঠাৎ সে আমার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে তাকিয়ে রইলাম তার পদধ্বনিতে , এত সুন্দর করে মানুষ হাটতে পারে জানা ছিল না , এরি মাঝে দু একবার তাকালো সে আমার দিকে , মেয়েটার সমস্যা কি বুঝলাম না আমারে কি জীব জন্তু মনে হয় যে দেখলেই হাঁসতে হবে , আমিও কেমন ওর হাসি দেখলেই আনমনা হয়ে যায় । কখন যে চলে গেলো টের ই পেলাম না ।
অনেকদিন পর দেখলাম তাকে । স্পর্শিয়া কে অন্যরকম লাগছে আকাশী নীল একটা সেলোয়ার পরা সাথে সাদা কামিজ , চুল বাধানো একদম বাচ্ছা দের মত লাগছে , ইচ্ছে করছে নাক টা টিপে দেয় । কেমন যেন অভিমানী হয়ে আছে , বুঝলাম না কেন ।
ইচ্ছে করছে জিজ্ঞাসা করি মন টা বাধা দিলো। কি করবো বুঝতে পারছিনা কেমন যেন হয়ে গেলাম আমি , স্পর্শিয়া আমার সামনে হাটছে নিচের দিকে তাকিয়ে , খুব জানতে ইচ্ছে করছে কিন্তু কিভাবে বলি তোমায় সাহস পেলাম না । আজব আমিতো এমন ছিলাম না । বন্ধুদের কাছে আমার মেয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারে অন্যরকম সুনাম সেই আমি কিনা কথা বলতে ভয় পাচ্ছি , এরকম তো কখনও হয়নি তাহলে ????স্পর্শিয়া আমার চোখের আডাল হয়ে অন্য পাশে বসলো ( কেন জানি মনে হলো আমার চোখের সীমানা থেকে দূরে থাকতে চায় সে) নাহ তা হবে কেন এইতো আবার আমার সামনে হাটছে , আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে চেয়ে , কিন্তু ও তাকাচ্ছে না কেন ? ওর অভিমান টা কি আমার উপর কিন্তু তা কেন হবে আমিতো এমন কিছু করিনি ,তাহলে ! নাহ আমার উপর না কারন মাত্রই আমার দিকে তাকিয়ে তার সেই অদ্ভুত হাসি দিয়ে চলে গেলো । যাক বাঁচা গেলো (অনেক চিন্তায় ছিলাম )
জেরিফ বসে আছে নিচের দিকে তাকিয়ে , চাদের আলোয় ছেলে টাকে একদম বাচ্ছাদের মত দেখাচ্ছে , বাচ্ছাদের মানুষিকতা যদিও ওর মধ্যে অনেক দেখা যায় কিন্তু তা পুরোটায় উচ্ছলতা ছাড়া আর কিছুই নয় , ওর দুষ্টমির মাত্রা টা এত বেশি যে , ওকে বানর ছাড়া অন্য কিছু ভাবা নিতান্তই বোকামি হবে ।
কিছু দিন হলো স্পর্শিয়ার সাথে জেরিফ এর কথা হয় । মেয়েটা অনেক মজা পায় জেরিফ এর দুষ্টুমিতে । যার কারনে স্পর্শিয়া ওকে বানর বলেই ডাকে । এতে অবশ্য জেরিফ এর ভালোই লাগে , কেননা এত সুন্দর করে কেউ ওকে আগে কখনো ডাকে নি , জেরিফ এর মনে হয় এই ডাক শুনার জন্যই বুঝি ওর জন্ম হয়েছিল । জেরিফ এর খুব দেখতে ইচ্ছে করে স্পর্শিয়া যখন ওকে বানর বলে ডাকে তখন ওকে কেমন লাগে , অবশ্য জেরিফ মনে মনে একটা ছবি একে রেখেছে , সেই ছবিটা এমন যখনি সে মনে করে কেমন যেন অজানা ভালো লাগা স্পর্শ করে যায় , জেরিফ ভাবে এটাই হয়ত ভালোবাসার স্পর্শ , যা সে আগে কখনো অনুভব করে নি ।
জেরিফ এর ইদানিং অকারনে মন খারাপ হয়ে যায় , সব কিছুতে বিষন্নতা অনুভব করে । এতে অবশ্য ওর একটা ব্যাপার ভালোই লাগে কারন তখনি স্পর্শিয়ার নিষ্পাপ মুখ তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে , জেরিফ তখন কেন যেন আনমনে বলে ফেলে " ভালোবাসি শুধু তোমায় "কথাটা বলার সাথে সাথে জেরিফ এর দু ফোটা পানি বেয়ে পড়ে চোখ থেকে ।
চলবে >>>>>>>>>>
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।