আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পদের ব্যক্তি মালিকানা ও সাম্প্রতিক বি এন পি

ভালবাসী দেশকে দেশের মানুষকে।

-চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন কোন ভাবেই জমাতে পারছেনা প্রধান বিরোধী দল বি এন পি । রাজনৈতিক বোদ্ধারা এর পেছনে তৃনমূল কর্মীদের স্বতস্পূর্ত অংশগ্রহন না করাকেই অনেকাংশে দায়ী করছেন । তৃনমূল কর্মীরা দলের প্রান হলেও বর্তমান বি এন পিতে তৃনমূলের ত্যাগী কর্মীদের কোন মূল্যায়ন নেই বললেই চলে । ত্যাগী কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দলটি বার বার ক্ষম্মতায় গেলেও কর্মীদের অভিযোগ তারা সঠিক মূল্যায়ন পায়নি ।

একশ্রেণীর নেতাদের আঙ্গুল ফূলে কলাগাছ হয়েছে । ক্ষমতার বাইরে গেলে কিছু নেতা আগামিতে কে কোন মন্ত্রনালয় পাবে কে কোন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারী কাজ পাবে কে কোন টার্মিনালের ইজারা পাবে কে কোন দেশের রাষ্ট্রদূত হবে এসব নিয়ে এতটাই বিভোর থাকে যে আন্দোলন করার ফুসরত মেলেনা । আর একশ্রেনীর মৌসুমী নেতারা বিভিন্ন দিবসে বা নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় আসে পোস্টার পেস্টুন দিয়ে সাজিয়ে পেলে গোটা এলাকা । কিছু নেতা উল্যেখ যোগ্য কোন পদ পেলে ডাক ঢোল পিটিয়ে শত শত গাড়ী বহর নিয়ে এলাকায় ফিরে সংবর্ধনা নেয় । এদের কে কোন আন্দোলন সংগ্রামে মিছিল মিটিং হরতালে রাজপথে ভুল্ক্রমেও দেখা যায়না ।

আর এক শ্রেনীর তোষামোদি নেতা রয়েছেন যারা দলীও চেয়ারপার্সন অথবা কোন শীর্ষনেতার আগমন উপলক্ষে রাস্তার ধারে তোরন,ব্যনার,ফেস্টুন দিয়ে নিজের অবস্থান জানান দেয় । দলের দু একটা গঠন মূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নে এদের কোন ভূমিকাই থাকেনা । আমার আজকের আলোচনার মূল প্রসঙ্গে আসি । বি এন পিতে ইদানিং পদের ব্যক্তি মালিকানার দীর্ঘ স্থায়িত্ব শুরু হয়েছে । একই ব্যক্তি দীর্ঘদিন একই পদে থাকার পর প্রমোশন হয়ে নতুন পদ পেলেও পূরনো পদটি আর ছাড়তে চায়না ।

আবার কেউ কেউ এক পদে সন্তূস্ট না হয়ে একাধীক পদ বহন করে । এতে নতুন নেতৃত্ব বিকশিত হবার সূযোগ ণষ্ট হয় যেমন আবার ত্যাগী কর্মীর মূল্যায়ন হয়না তেমনি । পাশাপাশি চেইন অব কমান্ডে তৈরি হয় চরম সমন্বয়হীনতা। বি এন পির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল একই সাথে ঠাকুরগাও জেলা বি এন পির সভাপতি ও কৃষকদলের সভাপতি । স্থায়ী কমিটির সদস্য ণজরুল ইসলাম খান একই সাথে শ্রমিক দলের সভাপতি ।

। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রপিকুল ইসলাম মিয়া আইনজীবি ফোরামের সভাপতি । ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া চৌধুরী পাশাপাশি কুমিল্লা জেলা সভাপতি । ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ঢাকা মহানগর সভাপতি । ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দার ফেনী জেলা সভাপতি ।

চেয়ারপার্সনের উপদেস্টা আমির খসরু চট্রগ্রাম মহানগরী সভাপতি । চেয়ারপার্সনের উপদেস্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর জেলা সভাপতি । ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন জেলা বি এন পির সভাপতি । যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান ঢাকা জেলা সেক্রেটারী । যুগ্ম মহাসচিব শাহজাহান নোয়াখালী জেলা সভাপতি ।

যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দপ্তর সম্পাদক । যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী মহানগর সভাপতি । যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকণ আইনজ্জীবি ফোরামের মহাসচিব । সাংগঠনীক সম্পাদক মজিবুর রহমান সারোয়ার বরিশাল মহানগর সভাপতি । সাংগঠনীক সম্পাদক নিখোজ ইলিয়াস আলী সিলেট জেলা সভাপতি ।

অর্থ সম্পাদক আব্দুস সালাম ঢাকা মহাণগর সদস্য সচিব । শিক্ষা সম্পাদক খাইরুল কবির খোকন ণরসিংদি জেলা সভাপতি । প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদীন ফারুক নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা সভাপতি । স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোর জেলা সভাপতি । প্রশিক্ষণ সম্পাদক কবীর মুরাদ জিয়া পরিষদ সভাপতি ও ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ।

সমাজকল্যান সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়্যা লক্ষীপুর জেলা সভাপতি । সহ সমাজকল্যান সম্পাদক মোঃ সাহাবুদ্দীন ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক । আইন সম্পাদক তৈমুর আলম খন্দকার নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি । এভাবে আরো অনেকেই একাধীক পদে রয়েছেন । তাহলে কি দেশের বৃহত্তম এই রাজনৈতীক দলে যোগ্য নেতৃত্তের অভাবে একই ব্যক্তিকে একাধিক পদ দেওয়া হচ্ছে নাকি কতিপয় নেতার কাছে দল জিম্মি হয়ে আছে , এমণ প্রশ্ন তৃনমুল কর্মীদের ।

একই ব্যক্তিকে একাধীক পদ না দিয়ে ত্যাগী কর্মীদের মুল্যায়ন করা হলে হয়ত দলের কর্মকান্ড আরো গতিশীল হতো । ২০/০৯/২০১৩ইং

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.