রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে জিম্মি করে নিজেদের দাবি আদায় করছে। জনগণের সেবার কথা বলে দেশের সম্পদ ধ্বংস করে। রাজনৈতিক এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। শনিবার বৈশাখী টেলিভিশনে জিরো আওয়ার শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। রাহুল রাহার সঞ্চালনায় টকশোতে আরও অংশ নেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন আহমেদ।
সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, রাজনীতির এই সংকটে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান করতে হবে। সেখানে দ্বিমত ও বিতর্ক হতে পারে। তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করেন। তাই দ্বিমত মানতেই হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে বিতর্ক থাকবে।
কিন্তু এখন রাজনীতির চেয়ে নিজেদের অহংবোধ বড় হয়ে গেছে। তিনি বলেন, সবাই দেশ সেবার জন্য সুযোগ দিতে জনগণের কাছে ভোট চান। পরে জনগণকে জিম্মি করে নিজেদের দাবি পূরণের চেষ্টা করেন। সেটা জনগণ ও দেশের বিরুদ্ধে চলে যায়। রাজনীতির অর্থ এটা কখনোই হতে পারে না।
তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই বাসে আগুন ও মানুষ হত্যা করা হয়। এমনকি যারা রাস্তায় আবর্জনা কুড়িয়ে জীবন চালায় বোমার আঘাতে তারা পঙ্গু হচ্ছে। এসবের দায় দায়িত্ব কে নেবে। কোনো দলই দায়িত্ব নেন না। এই পরিস্থিতি কারা তৈরি করছে? এর সমাধান কী? অবশ্যই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেছেন নিঃশর্তভাবে সচিব পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু ৫২ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা উপেক্ষা করে আবারও হরতাল দেওয়া হলো। কিসের স্বার্থে এই হরতাল। নিশ্চয় জনগণের সেবার জন্য এই হরতাল দেওয়া হয়নি। জামায়াত প্রসঙ্গে সুলতানা কামাল বলেন, ক্ষমতার স্বার্থে যারা রাজনীতি করেন তারাই এই দলটিকে সহযোগিতা করেন।
একটি ঘাতক দল এতদিন রাজনীতি করেছে। আদালত দলটির অনুমোদন অবৈধ করায় আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে। আমার ধারণা, সরকার যদি চাইত জামায়াতকে আরও আগে নিষিদ্ধ করতে পারত। অনেকে বলছেন প্রকাশ্য না থাকলে আরও সহিংস হবে। কিন্তু ৭১ সালের পর থেকেই তারা সহিংস ছিল।
তাই আরও বেশি সহিংস হওয়ার সুযোগ নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।