আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনগণকে ভয় দেখিয়ে বিচার বন্ধ করা যাবে না: কামরুল

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
মহাজোট সরকার এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করে বিশ্বের ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছে।
শনিবার সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন গ্লোবাল ইমপেক্ট অফ ওয়ার ক্রাইমস জাস্টিস প্রসেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন,“১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে দেশে ৭৩টি ট্রাইব্যুনালে প্রায় ১১ হাজার স্বাধীনতাবিরোধীর বিচার কাজ চলছিল। এতে ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড,৬৮ জনের যাবজ্জীবন ও অন্তত ৭শ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছিল। তবে ৭৫ এর ১৫ই অগাস্টের পর এসব বিচার কাজ থমকে যায়।


কামরুল ইসলাম বলেন,“স্বাধীনতাবিরোধীরা ৭৫ পরবর্তী সময়ের শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল। এমন ঘটনা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। ”
২০০৯ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে মহাজোট সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এ সংশোধন করে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরদের কাজের প্রশংসা করে আইনপ্রতিমন্ত্রী বলেন,“পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও তারা অত্যন্ত নিরপেক্ষতা,সততার মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ”
তিনি বলেন,যারা জনগণকে ভয় দেখিয়ে মানবতাবিরোধীদের বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে চায় তারা সফল হবে না।

এদেশের মানুষ সব সময়ের মতো এবারো তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাওলো কাসাকা বলেন, “বাংলাদেশের একটি গৌরবোজ্জ্বল ও সংগ্রামের রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে আমি ভীষণ সম্মান করি।
“তবে যখন দেখি হরতাল-অবরোধের সহিংসতায় এদেশে মানুষ দগ্ধ হচ্ছে তখন ভীষণ ব্যথিত হই। ”
এমন ঘটনা কারো কাম্য হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন,“আমি এ ঘটনাগুলো পশ্চিমা সরকারের সর্ব্বোচ্চ পর্যায়ে জানানোর চেষ্টা করবো।

তাছাড়া যারা বাংলাদেশে এমন সহিংসতা তৈরি করছে তাদের সঙ্গে যে কোনভাবে সংশ্লিষ্টরা যেন পশ্চিমা বিশ্বের কোন ধরনের সহযোগিতা না পান সে চেষ্টাও চালাবো। ”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান,মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি মফিদুল হক ও প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.