তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল আপডেট: অবরোধে সরকারি দলের আচরণের প্রতিবাদে বিএনপি মঙ্গলবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। জনগন আবারো অবরুদ্ধ।
রাজনীতির বিকৃত চেহারা দিন দিন আরো বিকৃত হয়ে প্রকাশ পাচ্ছে। কি সরকারি দল কি বিরোধী দল তারা কেউ রাজনীতি করছে না।
তারা করছে ক্ষমতা দখল বা ক্ষমতা রক্ষার লড়াই। রাজনীতির নামে হচ্ছে রাজপথ দখলের লড়াই। রাজপথ মানে তো আর জনগণের পথ নয়, রাজাদের পথ। তাই যারা রাজা হবেন বা হতে চান তারাই তা দখল করে রাখবে এটাই তো কথা। জনগণের তো করার কিছুই নাই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন অনেক যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে রাজপথে দেখা গেল জামাত শিবিরের তান্ডব। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়ে তাদের নেতা কর্মীদের রক্ষাটাই প্রধান হয়ে উঠলো।
ছাত্রলীগ আর আওয়ামী লীগের সোনার মানুষেরা কম যায় না। সন্দেহে আক্রোশে বধ করলো নিরীহ পথচারী কে।
তাদের এই আচরণকে ধিক্কার আর ঘৃণা জানানো ছাড়া কিছু নাই। কিন্তু আমরা কোথায় আছি? আমাদের কথা ভাবছে কে?
বিএনপির মিছিল আওয়ামী মিছিল জামাত মিছিল সবাই আক্রমণ করলো একে অপরকে। ভাঙচুর করলো গাড়ী বাস। হয়ে গেল সফল অবরোধ।
কে কাকে অবরুদ্ধ করলো? সরকার অবরোধ প্রতিরোধের নামে অবরুদ্ধ করলো সাধারণ মানুষকে।
বিএনপিও অবরোধ করলো সাধারণ জীবন ধারাকে। আর সব কিছুর দায় চাপালো একে অপরের উপর।
ভাই সাহেবরা-- আপনার যতখুশী পারেন একে অপরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। যার যতদিন ইচ্ছা ক্ষমতায় থাকেন। যার যতবার খুশী ক্ষমতায় যান।
আমাদের কোনো আপত্তি নাই। আপনারা নিজের সন্তান, ভাই, আত্মীয়স্বজন কে ফুলের মত পবিত্র বলে ঘোষণা করেন, তাতেও কোনো আপত্তি নাই। কেবল জনগণকে অবরুদ্ধ করবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।