হরতালের সমর্থনে সংসদ ভবন এলাকায় বিএনপির সাংসদেরা মিছিল বের করলে যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া করেন ও চড়াও হওয়ার চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে হরতালের সমর্থনে সংসদ ভবন এলাকায় বিএনপির ১২ জন সাংসদ মিছিল ও সমাবেশ করেন। বেলা ১১টার দিকে তাঁরা সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেট দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। দক্ষিণ গেটের আরেক প্রান্তে ছিলেন যুব মহিলা লীগের অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী।
এ সময় তাঁরা নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে বিএনপির সাংসদদের দিকে তেড়ে আসেন। যুব মহিলা লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর হাতে লাঠিও দেখা যায়। বিএনপির সাংসদদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে যুব মহিলা লীগের উত্তেজিত নেতা-কর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা চালায়। বিএনপির সাংসদেরা সেখান থেকে দ্রুত সংসদ ভবনের পূর্ব ট্যানেলে চলে যান।
পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির সাংসদেরা সংসদ ভবনের পূর্ব ট্যানেলে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
ঘটনার পর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাংসদ নাজমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী দলের এমপিরা সংসদে যান না। কিন্তু তাঁরা সংসদ ভবন চত্বরে মিছিল-সমাবেশ করেন।
গতকাল তাঁরা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, পুলিশের সামনে তাঁরা কীভাবে এমন বক্তব্য দেন?
বিএনপির সাংসদদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা প্রসঙ্গে নাজমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা তাঁদের নিবৃত করেছি। কিন্তু কাল যদি তাঁরা আবার এখানে সমাবেশ করেন, তবে যুব মহিলা লীগ দাঁতভাঙা জবাব দেবে। ’
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।