আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় নেতাদের কাছে মেজর আখতারুজ্জামান (অব.) এর আবেদন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ৫ নভেম্বর ২০১৩ সালে নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্থানীয় পোরশা ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিশাল জনসভায় এক যুগান্তকারী বক্তব্য প্রদান করেন। যদিও মধ্যরাতের পর সব টেলিভিশন থেকে তার বক্তব্যটি প্রচার করা থেকে বিরত রাখা এবং আজ ৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখের সব পত্রপত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণের এ অংশটি প্রকাশিত হয়নি। মনে হয় প্রধানমন্ত্রী তার এই বক্তব্য থেকে এখন সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পরিষ্কার বলেছিলেন, সংসদে ৯০ ভাগ আসন থাকা সত্ত্বেও দেশের শান্তি ও নির্বাচনের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন যে, সর্বদলীয় সরকারের বিরোধীদলীয় নেত্রী যে যে মন্ত্রণালয় চাইবেন তিনি তাকে সেই মন্ত্রণালয়ই দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি চলমান সংকট নিরসনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে।

তিনি যদি তার এই বক্তব্যে স্থির ও অনড় থাকেন এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী যদি তার অবস্থান থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তির স্বার্থে একটি ছাড় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্বে ১০ জন মন্ত্রীর সমন্বয়ে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার মতো বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দমতো পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে পাঁচজন মন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করেন তাহলে চলমান সংকট নিরসনে পৌঁছানো অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে বহুজনের বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে প্রধানমন্ত্রী থাকলে যেমন তিনি তার দল ও দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে পারবেন, তেমনই বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন পাঁচজন মন্ত্রীর হাতে ১. জনপ্রশাসন (সাবেক সংস্থান), ২. স্বরাষ্ট্র, ৩. প্রতিরক্ষা, ৪. আইন ও বিচার এবং ৫. স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে ১৮ দলীয় নেতাকর্মীদের আস্থা ও মনোবলও চাঙ্গা হবে। এ রকম একটি সর্বদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার পরে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সমতল বৈশিষ্ট্য পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় একটি শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে।

প্রধানমন্ত্রীর পোরশার অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার আলামত গভীর রাত থেকেই শুরু হয়ে গেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান থেকে তাকে সরিয়ে দিয়ে দুই মন্ত্রীকে পুরোপুরি সংঘাতে নিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার সুদূরপ্রসারী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

তাই দুই মূল নেত্রীসহ সব দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতার কাছে ষড়যন্ত্রকারীদের সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে রাজনীতিকে জয়ী করা এবং শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পোরশার অবস্থানকে স্থির ও অনড় রেখে ওই প্রস্তাবকে বাস্তবায়ন করাসহ তাদের স্ব স্ব অবদান রাখার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পোরশার অবস্থান থেকে সরে গেলে বা বিরোধীদলীয় নেত্রী পোরশার অবস্থান মেনে না নিলে দেশের আগামী দিনের বিপর্যয় ও জীবনহানির জন্য এই দুই মূল নেত্রীসহ জাতীয় নেতারাই জাতির কাছে দায়ী থাকবেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.