বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের টানা ৮৪ ঘণ্টার হরতাল আজ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে। ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। এর আগে এ হরতাল ৭২ ঘণ্টা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু শুক্রবার বিএনপির শীর্ষ পাঁচ নেতাকে আটকের প্রতিবাদে হরতালের সময়সীমা আরও ১২ ঘণ্টা বাড়ানো হয়। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এদিকে টানা ৮৪ ঘণ্টার হরতালকে সামনে রেখে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগি্নসংযোগ, ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যাত্রাবাড়ী, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, পান্থপথ, গুলিস্তান ও মহাখালীতে ৬টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধানমন্ডি এলাকায় অধ্যাপক পিয়াস করিমের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাড়ির একজন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা বিএনপি সভাপতি ভিপি সাইফুলসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। সীতাকুণ্ডে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেফতার করেছে। অনেক নেতার বাসায় বাসায় পুলিশ হানা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে ঘোষিত টানা হরতালের কর্মসূচি ১২ ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত দুই সপ্তাহে তিন দিন করে ছয় দিন হরতালের পর রবি থেকে মঙ্গলবার ৭২ ঘণ্টার জন্য একই কর্মসূচি দিয়েছিল ১৮ দল। সরকারকে সতর্ক করে রিজভী বলেন, তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। তারা ভেবেছে, জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেফতার করে জাতিকে মূক ও বধির করে দেবে, এটা হবে না। তাদের পতনের শেষ সাইরেন বেজে গেছে। এই সরকারের পতনের জন্য গ্রামে-গঞ্জে-ইউনিয়ন-ওয়ার্ডে আজ মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে।
এদিকে হরতালের আগে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল সোয়া ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। যাত্রাবাড়ি থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, বাসটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধানমন্ডি এলাকায় অধ্যাপক পিয়াস করিমের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাড়ির একজন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। ধানমন্ডির ২৪ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। ধানমন্ডি থানার এসআই শিমুল কুমার বলেন, সন্ধ্যায় ৩/৪জন দুর্বৃত্ত পিয়াস করিমের বাসায় যায়। স্যার আছেন কিনা খোঁজ-খবর নেয়। এসময় নিরাপত্তাকর্মীরা জানায়, 'স্যার বাসায় নেই।' এ কথা জানার পরপরই একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্তরা। এসময় বিস্ফোরিত ককটেলে আঘাত পান বাড়ির একজন নিরাপত্তাকর্মী। ঘটনার বিষয়ে প্রফেসর পিয়াস করিম বলেন, আমার বাসা লক্ষ্য করে কে বা কারা গুলি ছুঁড়েছে। একইসঙ্গে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে বাড়ির একজন নিরাপত্তাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড্ডা প্রগতি স্মরণীতে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শিবির কর্মীরা পুলিশের গাড়িসহ ৫/৬টি গাড়িতে ভাংচুর করে। এছাড়া জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ১০/১২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে পুরান ঢাকার জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেই হতাহত হয়নি। পুলিশও কাউকে আটক করতে পারেনি।
বেলা পৌণে ১২টার দিকে তিতুমীর কলেজের সামনে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বাসটি কোনো যাত্রী না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বনানী থানার ওসি ভূঁইয়া মাহবুব হাসান জানান, বাসটি বিআরটিসির তিতুমীর কলেজের। যাত্রী বেশে দুর্বৃত্তরা বাসে চড়ে তিতুমীর কলেজের সামনে গিয়ে আগুন দেয়। এ সময় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে কামরুল ইসলাম আশিক নামে একজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। আশিক পুলিশকে জানিয়েছে, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের নেতা মেহেদী বাসে আগুন দিতে তাকে ভাড়া করা হয়। মেহেদীকে ধরতে অভিযান চলছে।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফকিরাপুল পুলিশ হাসপাতালের সামনে একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয় জনতা আগুন নিভিয়ে ফেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি।
দুপুর দেড়টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের এক নম্বর গেটের সামনে ডিএমপি'র একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় গাড়িতে চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয় জনতা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
দুপুর পৌণে ৩টার দিকে পান্থপথ সমরিতা হাসপাতালের সামনে একটি সাদা প্রাইভেটকারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই গাড়িটি পুড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, গাড়িটি রাস্তার পাশেই অবস্থান করছিল। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত গাড়িটি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
বিকাল সোয়া ৫টার দিকে গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজারের কাছে ঢাকা পরিবহনের একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহ্বাগ মোড়ে মিরপুর গুলিস্তানগামী ইটিসি পরিবহনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে তিনজন দ্বগ্ধ হয়েছে। দ্বগ্ধ আব্দুর রাজ্জাক মিঠুকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, মিঠুর শরীরের ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। আহত মিঠু জানান, তিনি একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরি করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। পরে র?্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত নাহিদও রুবেলকে ছয় মাস করে এবং জারন, সবুজ, বাবর, সজল ও পলাশকে দুই মাস করে কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া সারা দেশে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
সীতাকুন্ডে বিজিবি মোতায়েন: হরতালের সমর্থন ও বিএনপি'র শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দফায় দফায় ভাঙচুর চালিয়েছে বিএনপি জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা। দুই দফায় অবরোধের ফলে এ মহাসড়কে দীর্ঘ ৪০ কিমি যানজটে সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার পর পর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে হরতাল সমর্থকরা। দফায় দফায় ভাঙচুর ও সংঘর্ষের পর সীতাকুন্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। মহনগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মাসুদ উল হাছান জানান, সন্ধ্যার পর কোতোয়ালীসহ বেশ কিছু এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে হরতাল সমর্থকরা। তবে নগরীতে বড় কোন ঘটনা ঘটেনি।
সীতাকুন্ড থানা পুলিশ জানায়, বিএনপি'র কেন্দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৪০ কিমি যানজট সৃষ্টি হয়।
বগুড়ায় আহত শতাধিক: বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল থেকে যানবাহন ভাংচুর, অগি্নসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এসময় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামসহ ১৮ দলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ ১২ জন হরতাল সমর্থনকারিকে আটক করেছে। সন্ধ্যারপর হরতালের সমর্থনে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের গোকুলে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে ৪০/৫০টি বাস-ট্রাকের গ্লাস ভাংচুর করে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে হরতাল সমর্থকরা। এসময় উভয় পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। বগুড়া শহরের নবাববাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রাখে পুলিশ। কার্যালয়ের অভ্যন্তরে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি র্যাব ও আমর্ড পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ময়মনসিংহে প্রাইভেটকারে আগুন: ময়মনসিংহ শহরের গোলকী বাড়ী এলাকায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা। এ সময় আশেপাশের লোকজন পানি ঢেলে আগুন নেভায়। এদিকে মুক্তাগাছায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং লাঠি চার্জের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ৩টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে।
সিলেটে শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর: নগরীর বিভিন্ন স্থানে শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ও জামায়াত-শিবির। বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মিরবঙ্টুলা, নয়াসড়ক, সুবিদবাজার ও রিকাবীবাজারে হরতাল সমর্থক নেতাকর্মীরা এসব যানবাহন ভাঙচুর করে। আবার আম্বরখানা পয়েন্টে বিকেলে একটি সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে আম্বরখানায় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নেতাকর্মীরা। পরে তারা আম্বরখানা থেকে নয়াসড়ক পর্যন্ত শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। এসময় জামায়াত নেতা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইনের সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ককটেল বিস্ফোরণ: বিকালে হরতাল সমর্থকরা মিছিলকারীরা বেশ কয়েকটি দোকান, অফিস, অটোরিঙ্া ভাংচুর চালায়। পরে একটি মিছিল টিএ রোড এলাকায় পৌছলে পুলিশ পিছন থেকে অর্তকিত লাঠিচার্জ করে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় মাদ্রাসা রোডের কান্দিপাড়া এলাকায় ১০/১২ টি ককটেল বিষ্ফোরিত হয়। পুলিশ এসময় টিয়ার গ্যাস ও গুলি বর্ষণ করে। সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতা সালাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ৩ জনকে আটক করে।
বরিশালে ঝঁটিকা মিছিল গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর ডা. নাসিম বিশ্বাস সড়কের শশী মিস্টান্ন এলাকায় এবং বগুড়া রোডের ইডেন ক্লিনিক এলাকায় ঝঁটিকা মিছিল করে ওয়ার্ড বিএনপি। এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর গোরস্থান রোড ধোপা বাড়ির মোড় এলাকায় একটি অটোরিঙ্ায় অগি্নসংযোগ করে হরতাল সমর্থকরা। পরে স্থানীয়রা সেটি নিভিয়ে ফেলেন।
ফরিদপুরে লাঠি মিছিল: হরতালের সমর্থনে গতকাল ফরিদপুরের কানাইপুরে লাঠি মিছিল করেছে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। এসময় মিছিলকারীরা তিনটি গাড়ীর গ্লাস ভাংচুর করে।
ফেনীতে এসআইসহ আহত-৭: ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে হরতাল সমর্থনে ফুলগাজী থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন মুন্সীর হাটের ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে থেকে একটি মিছির বের করে বাজারের দিকে যায়। এসময় মিছিল থেকে কয়েকটি ঢিল বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে ছুড়লে বাজারে অবস্থানরত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। এসময় উভয় পৰের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আট রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছুড়ে। হরতাল সমর্থকরাও পুলিশকে লৰ করে ৬টি ককটেল বিস্ফোরনের ঘটালে ককটেলের স্প্রিন্টার'র আঘাতে ফুলগাজী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন চন্দ বড়ুয়া আহত হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।