সবাইকে আমার নিজস্ব ব্লগ ভিজিট করার আমন্ত্রন রইলঃ www.islameraalo.wordpress.com
চারিদিকে এমন অনেক মানুষ আছে যারা প্রশ্ন করে আমরা মুসলিমরা এত গরীব কেন? কাফেররা তো অনেক বড়লোক। তারা সুখী। তারা বাড়ি গাড়ী নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন কাটাচ্ছে। আর আমরা আছি কষ্টে। আবার এমন মানুষও আছে যাদের নামাজের কথা বা পাপকাজ থেকে দূরে থাকার কথা বললে সে বলে, 'আমি যদি পাপী হতাম তাহলে আল্লাহ আমাকে এতকিছু দিতনা।
আমার চাকরী আছে, বড় বাড়ি আছে, গাড়ীও আছে। আর আমি সুখী। আমার রোগ ব্যাধীও হয়না। আর তুমি এত নামাজ রোজা করে কি আছে তোমার'?
এর উত্তর কুর'আন হাদীসেই স্পষ্টভাবে আছে -
'কেউ পার্থিব-সুখ কামনা করলে আমি যাকে যা ইচ্ছা সত্বর দিয়ে থাকি। পরে ওর জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত করি; যেখানে সে নিন্দিত ও (আল্লাহর) অনুগ্রহ থেকে দূরীভুত অবস্থায় প্রবেশ করবে।
আর যারা মু'মিন হয়ে পরলোক কামনা করে এবং তার জন্য যথাসাধ্য সাধনা করে, তাদেরই সাধনা স্বীকৃত হবে' [সুরা ইসরা/১৮-১৯]
এছাড়াও এব্যাপারে সুরা হুদ/১৫-১৬; সুরা মু'মিন/৩৯; সুরা আনকাবুত/৬৪; সুরা আন'আম/৩২; সুরা হাদীদ/২০ এবং আরো অনেক আয়াতে বর্ণনা আছে।
একদা মুহাম্মাদ সা. চাটাই এর উপর হেলান দিয়ে শুয়েছিলেন। তাঁর পার্শ্বদেশে চাটাই এর স্পষ্ট দাগ পড়েছিল। তাঁর বগলে ছিল খেজুর গাছের চোকার বালিশ! তা দেখে উমার রা. কেঁদে ফেললেন। নবী সা. জিজ্ঞেস করলেন, 'হঠাত কেঁদে উঠলে কেন, হে উমার? উমার বললেন, 'হে আল্লাহর রাসুল! পারস্য ও রোম সম্রাট কত সুখ-বিলাসে বাস করছে।
আর আপনি আল্লাহর রাসুল হয়েও এ অবস্থায় কালাতিপাত করছেন? আপনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন, যেন তিনি আপনার উম্মতকে পার্থিব সুখ-সম্পদে সমৃদ্ধ করেন। পারস্য ও রোমবাসীদেরকে আল্লাহ দুনিয়ার সুখ সামগ্রী দান করেছেন, অথচ তারা তাঁর ইবাদত করে না!
একথা শুনে মুহাম্মাদ সা. হেলান ছেড়ে উঠে বসলেন এবং বললেন, 'হে উমার! এ ব্যাপারে তুমি এমন কথা বল? ওরা হল এমন জাতি, যাদের সুখ সম্পদকে এ জগতেই ত্বরান্বিত করা হয়েছে। তুমি কি চাও না যে, ওদের সুখ ইহকালে আর আমাদের সুখ পরকালে হোক? [বুখারী/৫১৯১; মুসলিম, ইবনে মাজাহ, সহীহুল জা'মে/১৩২৭]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।