আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারি স্বীকৃতি নিয়ে বিভক্ত চট্টগ্রামের 

কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতির বিষয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন চট্টগ্রামের শীর্ষ কওমি আলেমরা। সরকারি স্বীকৃতির পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ইতোমধ্যে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিও দিয়েছেন তারা। সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি নিতে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে কওমি আলেমদের একটি অংশ। অপরদিকে হেফাজত সংশ্লিষ্টরা যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তালিমুল নিসা মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, সরকার শীর্ষ আলেমের সঙ্গে পরামর্শ না করেই 'কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ' আইনের খসড়া তৈরি করে তা পাসের চেষ্টা করছে। এ আইন কওমি মাদ্রাসা রক্ষার বদলে ধ্বংস করবে। তাই যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তা প্রতিহত করা হবে। স্বীকৃতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দেশের ১১ কওমি শিক্ষা বোর্ডের ৫১ জন আলেম এক বিবৃতিতে বলেন, কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি এ দেশের লাখ লাখ ওলামা ও অর্ধকোটি কওমি ছাত্রদের প্রাণের দাবি। এ স্বীকৃতির জন্য লাখ লাখ ছাত্র-শিক্ষক বহুকাল থেকে সংগ্রাম করেছেন। আন্দোলনের সফল হিসেবে বিগত সরকারের আমলে টাস্কফোর্স এবং বর্তমান সরকারের 'কওমি শিক্ষা কমিশন' গঠিত হয়। কিন্তু একটি পক্ষ ১৮ দলের পক্ষাবলম্বন করে সরকারি স্বীকৃতি উদ্যোগ বানচাল করার চেষ্টা করছে। যারাই সরকারি উদ্যোগ বানচাল করছে তারা কওমি মাদ্রাসার শত্রু। হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, কষ্ট করে দাওরা হাদিস (মাস্টার্স সমমান) পাস করলেও সরকারি চাকরি করার সুযোগ পাই না। সরকারি স্বীকৃতি না থাকায় পাস করার পর হয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা নইলে অশিক্ষিতদের মতো অন্য কোনো কাজ করতে হয়। দেশের নাগরিক হিসেবে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো কওমির সনদেরও সরকারিী স্বীকৃতির উদ্যোগ কার্যকরের দাবি করেন তিনি।

জানা যায়, দেশে ১১টি কওমি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৭ হাজারের বেশি ছোট বড় কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। এ ছাড়া বোর্ডের বাইরে রয়েছে আরও ১০ থেকে ১২ হাজার কওমি মাদ্রাসা। বোর্ডের অধীনে এবং বাইরে থাকা মাদ্রাসাগুলোতে অধ্যয়নরত রয়েছে অর্ধকোটির বেশি শিক্ষার্থী। এসব মাদ্রাসায় ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়।

মাদ্রাসায় লেখাপড়া শেষ করে সনদ পেলেও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে, সরকারিভাবে এর স্বীকৃতি নেই। ফলে এসব মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা পায় না।

চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবদুর রশিদ ফাহিম বলেন, 'কওমি মাদ্রাসার স্বকীয়তা নষ্ট করে সরকার কওমির স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। স্বীকৃতি দিলে কওমি মাদ্রাসার স্বকীয়তা ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশের শীর্ষ আলেমদের পরামর্শ নিয়ে আইন করলে তা অবশ্যই মেনে নেব। আমরা সরকার নিয়ন্ত্রণ মুক্ত স্বীকৃতি চাই।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.