বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, কওমি সনদের স্বীকৃতির জন্য কওমি আলেম-ওলামারা দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। পীর-মাশায়েখদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি দিতে হবে। গতকাল রাজধানীর খাজা নাজিমুদ্দিন মিলনায়তনে 'কওমি সনদের স্বীকৃতি চেতনায় শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (রহ.)' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। সমিতির মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান আতিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা শায়খুল হাদিস মাওলানা মোখলেসুর রহমান কাশেমী, কর্নেল (অব.) খন্দকাল ফরিদুল আকবর, মাওলানা আহসান হাবিব প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আল্লামা আজিজুল হক স্বীকৃতির জন্য মুক্তাঙ্গনে পাঁচ দিন অবস্থান করেছিলেন। এখন দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা স্বীকৃতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
'ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করুন' : কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির নামে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে ধ্বংসের পাঁয়তারা থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন 'কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩ প্রতিরোধ কমিটি'র চেয়ারম্যান মাওলানা আজীজুল ইসলাম কাসেমী। গতকাল এক বিবৃতিতে মাওলানা কাশেমী বলেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান দেশের কোনো কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি না হওয়া সত্ত্বেও কওমি মাদ্রাসাগুলোকে স্বীকৃতির নামে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য জাতিকে বিভ্রান্তের কাজে লিপ্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, ওলামায়ে কেরাম একবিন্দু রক্ত থাকতে এই ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।