উনি সস্তা সাহিত্যের লেখক ছিলেন কিনা জানি না, উনার বই এর সাহিত্য মান কোন পর্যায়ে ছিলো, তা নিয়ে ও জীবনে কখোনো মাথা ঘামাই নাই, বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে উনি স্থান পাবেন কিনা, তাও জানা নাই আর বাঙ্গালীকে বইমুখী করতে উনার অবদান কতটুকু তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কপালে চিন্তার ভাজ ও কখনো ফেলি নাই। আমার কাছে হুমায়ূন আহমেদ এমন একজন ছিলো, যার বই পড়ার জন্য প্রতিটা বইমেলা অপেক্ষা করছি, এই পর্যন্ত যতগুলো বই উনি লিখছেন, তার সব কয়টা বই সংগ্রহ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি, হিমুর বইগুলা পড়ে বহুবার খালি পায়ে হলুদ পাঞ্জাবী গায়ে রাস্তায় হাটার প্ল্যান করছি, মিসির আলীর বইগুলা পড়ে নিজের মধ্যে আসলেই কোনো বিশেষ ক্ষমতা আছে কিনা, তা খুঁজার চেষ্টা করছি, আর দেখবো না দেখবো না করে ও এই পর্যন্ত কম পক্ষে দশবার “আগুনের পরশমণি” সিনেমাটা দেখেছি।
শুভ জন্মদিন হুমায়ুন আহমেদ। মাঝে মাঝে নিজের মাথার ঘিলুর স্বল্পতায় বেশ পুলক অনুভব করি। ঘিলুর আধিক্য থাকলে আমিও হয়তো অন্যান্য বুজুর্গ ব্যক্তির ন্যায় আপনার লিখার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ত্যানা প্যাচাইয়া ডাঙ্গায় খাবি খাওয়া মাছের ন্যায় তড়পাইতে থাকতাম। সাহিত্যমান বিশ্লেষণ করতে গিয়ে স্কুল কলেজে বহু ভালো ভালো সাহিত্যের সর্বনাশ করেছি, তাই এই সব বিশ্লেষণের কাজ আপাতত শুধু পরীক্ষার পাশের জন্যই সীমাবদ্ধ থাকুক। আমার জীবনে আপনার লিখার প্রভাব কি, তা শুধু আমি ই জানি, এর জন্য চুলচেরা বিশ্লেষণের আসলেই প্রয়োজন নেই !!!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।